মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৪০

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৪০

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.

“আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ,উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।”
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)।

মাওলা আলী “ফারুকে আজম” অর্থাৎ প্রধান সত্য-মিথ্যার প্রার্থক্যকারী। মাওলা আলীর চেয়ে সত্য-মিথ্যার প্রার্থক্যকারী মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জগতে কাউকে সৃষ্টি করেননি। দয়াল রাসূল (সাঃ) মহাসত্য এবং মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ হাবীব। এটা মাওলা আলী জন্মগ্রহণ করার সাথে সাথে স্বাক্ষী দিয়েছেন। তখন কিন্তু দয়াল রাসূল (সাঃ) নবুয়াত লাভ করেনি জাহেরীগতভাবে। মাওলা আলী জন্মগ্রহণ করে চোখ বন্ধ করে ছিলেন। যখন দয়াল রাসূল (সাঃ) সামনে আসলেন, তখন মাওলা আলী চোখ খুলে প্রথমেই দয়াল রাসূল (সাঃ) এর রুপ দর্শন করলেন। আবার মাওলা আলী প্রথম খাদ্য হিসাবে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর লালা মোবারক পান করলেন। এর আগে মাওলা আলী মায়ের দুধ পান করেনি। দয়াল রাসূল (সাঃ) ছিলেন স্বয়ং হক অর্থাৎ মহাসত্য। তার বিপরীতে আবু জেহেল ও আবু সুফিয়ান গংরা ছিলো মিথ্যা।

তাই মাওলা আলী জন্মগ্রহণ করার সাথে সাথে সবার সামনে প্রমান করে দিলেন, দয়াল রাসূল (সাঃ) স্বয়ং হক এবং তাঁর বিরোধিতাকারী সবাই মিথ্যা ও বাতিল। শরিয়তের দৃষ্টিতে এই জন্যই মাওলা আলীকে ফারুকে আজম অর্থাৎ প্রধান সত্য-মিথ্যার প্রার্থক্যকারী বলা হয়। তবে শরিয়ত এবং হাকিকতে আরো বহুসংখ্যক হাজার হাজার এরচেয়ে বৃহৎ ঘটনা রয়েছে। মাওলা আলীর ঈমান সৃষ্টি জগতের মধ্যে সবচেয়ে দৃঢপদ এবং পৃথিবীর সমস্ত মুমিনদের কর্তা অর্থাৎ অভিভাবক। মূলত মাওলা আলী নিজেই স্বয়ং ঈমান এবং মুমিনের মানদন্ড। মাওলা আলীকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারলেই ঈমানদার ও মুমিন হওয়া যায়। মাওলা আলীর ভালোবাসা ব্যতীত কখনো ঈমানদার ও মুমিন হওয়া সম্ভব নয়।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel