গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী (কঃ) এর কারামত।
(পানিফল আঙ্গুর ফলে পরিণতঃ)
আমিন ফকির নামে গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী (কঃ) এর একজন দরিদ্র আশেক ছিলেন। একদিন বাবাভান্ডারী (কঃ) তাকে কিছু আঙুর ফল বাবাভান্ডারী (কঃ) এর জন্য নিয়ে আসতে বললেন।
এতে আমিন ফকির খুবই চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লেন। কিভাবে তিনি আঙুর ফলের মত দামী ফল কিনবেন! তিনি যে অতি দরিদ্র একজন মানুষ। কিন্তু মুর্শিদ ক্বেবলা এর পবিত্র হুকুম পালনার্থে তিনি নাজিরহাট বাজারের দিকে চলতে লাগলেন। পথিমধ্যে, একটি গাছে দেখতে পেলেন কিছু পানিফল। তিনি এগুলো সংগ্রহ করলেন এবং একটি কাগজে পেচিয়ে হযরত গাউসুল আযম বাবাভান্ডারী (কঃ) এর খেদমতে তা নিয়ে উপস্থিত হলেন।
বাবাভান্ডারী ক্বেবলায়ে আলম, তাকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “তুমি এত তাড়াতাড়ি আমার আঙুর নিয়ে এসেছ!” কিন্তু আমিন ফকির তো জানেন, তিনি আসলে কি এনেছেন তাই তার মন অত্যন্ত খারাপ ও ভীত সন্ত্রস্ত, তিনি লজ্জাবোধ করছিলেন।
বাবাভান্ডারী (কঃ) ” দাও” বলতেই আমিন ফকির কাগজের প্যাকেটে রাখা পানিফল গুলো বাবাভান্ডারী (কঃ) এর হাতে দিলেন। খোদার কি অসীম মহিমা! বাবাভান্ডারী (কঃ) সেখান থেকে পানিফলের পরিবর্তে আঙুরফল বের করে খেদমতে উপস্থিত সকল ভক্ত ও আশেকানদের প্রত্যককে ২টি করে আঙুর বিতরণ করলেন।
এতে আমিন ফকির অভিভূত হয়ে বাবাজান ক্বেবলা-এ-আলমের পবিত্র নূরাণী চরণযুগল ধরে কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, “বাবাজান! অভাগাকে কোন পরীক্ষায় ফেললেন? আনলাম পানিফল, করে দিলেন আঙুর। (সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি!)
আল্লাহর অলিগণ আল্লাহর একনিষ্ঠ বন্ধু। খোদা প্রদত্ত ক্ষমতায় তারা ক্ষমতাবান। তারা আল্লাহর রঙে রঙিন, আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। তারা মানুষের মনজগতের খবর জানেন। তারা সৃষ্টিকর্তার, প্রিয় নবিজীর (দঃ) প্রতিনিধি হয়ে ধরণীতে আবির্ভূত হয়ে, সৃষ্টিকুলের কল্যাণ সাধনে নিমগ্ন থাকেন। মানুষকে আল্লাহ্ ও তার প্রিয় হাবীব (দঃ) এর প্রেমের সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
সূত্রঃ “ইমামুল আউলিয়া গাউসুল আযম মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারী (কুঃছিঃআঃ) এর জীবনী ও কারামত” [মইনীয়া প্রকাশণী]