পীরকে বাবা ডাকার দলিল।

পীরকে বাবা ডাকার দলিল।

প্রশ্নঃ আউলিয়া ও পীর বুজুর্গকে “বাবা” ডাকা পবিত্র কোরানের দৃষ্টিতে জায়েজ কিনা?

উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা আহযাব ৬নং আয়াতে এরশাদ করেছেন, “নবী পাক (সাঃ) মুমিনদের প্রাণের চেয়েও অধিকতর
নিকটবর্তী এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের(মুমিনদের) মাতা।”

সুতরাং, নবী সঃ এর স্ত্রী মুমিনদের মাতা হলে, নিঃসন্দেহে নবীগণ মুমিনের ‘বাবা’। এই পিতৃত্বের সাথে রয়েছে আধ্যাত্মিক ও রুহানী সম্পর্ক।

পবিত্র কোরআনের সুরা হজ্বের ৭৮নং আয়াতে বলা হয়েছে, “হজরত ইব্রাহিম আঃ তোমাদের (মুসলমানদের) জাতির পিতা।”

তাই কোরআনের ঘোষনায় ইব্রাহিম আঃ কেও বাবা বলা যাবে।

আউলিয়া কেরামগণ নবীগণের পরবর্তী দ্বীনের হেদায়েতকারী। তাই তাঁদেরকেও বাবা বলা কোরানের দৃষ্টিতে জায়েজ।

এই কারণে ইসলামীক দৃষ্টিতে ৬জনকে ”বাবা” বলে ডাকা যাবেঃ-

১। হযরত মুহাম্মদ সাঃ সৃষ্টি জাতির পিতা।
২। হযরত আদম আঃ মানবজাতির পিতা।
৩। ইব্রাহিম আঃ মুসলমান জাতির পিতা।
৪। পীর মশায়েখগণ মুরিদানগণের রূহানী পিতা।
৫। নিজের বাবা বা জন্মদাতা পিতা।
৬। আপনার স্ত্রীর বাবা অর্থাৎ শশুরকে বাবা ডাকা যাবে।

অনেকে বলবে তুমি যে তোমার পীর সাহেবকে “বাবা” ডাকো তোমার মাকে কি বিয়ে দিয়েছো পীরের কাছে? উনাকে বলবেন আপনি যে আপনার শশুরকে বাবা ডাকেন আপনার মাকে কি আপনার শ্বশুরের কাছে বিয়ে দিয়েছেন? এই ধরনের অনেক যুক্তি দিয়ে আপনাকে পেঁচে ফেলবে।

আমরা অনেক সময় আমাদের বাচ্চাদেরকেও মহব্বত করে বা ভালোবেসে বাবা সম্বোধন করে ডাকি, যে বাবা এদিকে আসো- বাবা এটা খাও। আবার অনেক সময় বৃদ্ধ বাবার বয়সি লোকের সাহায্য করলে বাবা সম্বোধন করে দোয়া দেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকেন।

এখন কথা হলো বাচ্চাকে বাবা ডাকি আদর করে, আর পীরসাহেবকে বাবা ডাকি সম্মান করে। পীর তার মুরিদানদেরকে সন্তানের স্নেহের বন্ধনে রাখেন এবং ভালোবাসেন বিধায় তাকে বাবা বলে থাকি।

মনে রাখবেন শয়তানের পেঁচের শেষ নাই, শয়তান মানুষকে ইমান নষ্ট করার কত কৌশল করে। বিশেষ করে পীর আউলিয়ার বিরোধী নবী ওলির দুশমন মুনাফিক হতে সাবধান।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel