হোমপেজ সকল দলিল প্রশ্ন ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সমূহ একত্রে

প্রশ্ন ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সমূহ একত্রে

716
প্রশ্ন ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সমূহ একত্রে

পরিচ্ছেদ সমূহ:

মারেফত সম্পর্কিত দলিল:

মারেফত সম্পর্কে রাসূলে পাক সাঃ এরশাদ করেনঃ “আমি আল্লাহর সম্পর্কে তোমাদের সবার চেয়ে বেশি জানি যা তোমরা জানো না, আর মারেফত হচ্ছে তার নিগুঢ় রহস্য”__(বোখারী শরিফ ১ম খন্ড, ৭নং পৃঃ)।

সূরা: আনাম আয়াত :৭।
যদি আমি কাগজে লিখিত কোন বিষয় তাদের প্রতি নাযিল করতাম অত:পর তারা তা স্বহস্তে স্পর্শ করিত, তবুও অবিশ্বাসিরা একথাই বলিতো যে এটা প্রকাশ্য যাদু ব্যাতিত কিছুই নহে।
.
ব্যাক্ষা:- এখানে সৃষ্টিকর্তা বলছেন, আমি কাগজে কোরআন পাঠাই নাই, যদি পাঠাইতাম তবুও তাহারা তথা অবিশ্বাসিরা স্পর্শ করলেও ঈমান আনতো না বরং বলতো ইহা যাদু। যেমনটি রাসুল (সা:) কর্তৃক চন্দ্র দ্বি-খন্ডীত করাকেও যাদু বলে আখ্যায়িত করেছিল।

কিন্তু কোরাআন নাযেল হয়েছে, সেই কোরআনকে এমন ভাবে এমন পাত্রে পাঠান হয়েছে যা অবিশ্বাসিরা স্পর্শও করতে পারবে না, অতএব বলা যায় কোরআন কাগজে কাগজে নয়, উহা সু-রক্ষিত এবং সং-রক্ষিত পাত্রে। যা অবিশ্বাসিরা কখনও স্পর্শ করতে পারে না।

ওসিলা বা পীর ধরা সম্পর্কে দলিল:

আরবিতে ওলি/আউলিয়া/মুর্শিদ, ফার্সিতে পীর, বাংলায় পথ প্রদর্শক।

সূরা মায়েদা ৩৫নং আয়াতে কারিমায় ইরশাদ করেন;
উচ্চারণঃ “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তা-কুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলায়হিল ওয়াসিলাতা ওয়া জাহিদু ফী সাবিলিহী লায়াল্লাকুম তুফলিহুন।”

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার জন্য ওসীলা (মাধ্যম) সন্ধান কর এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের রাস্তায় সাধনা কর, তবেই তোমরা মুক্তি লাভে সফল হবে।
.
সূরা আল কাহফ (الكهف), আয়াত: ১৭
উচ্চারণঃ মিনহু যালিকা মিন আ-য়া-তিল্লা-হি মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফাহুওয়াল মুহতাদি ওয়া মাই ইউদলিল ফালান তাজিদা লাহূত্তয়ালিইইয়াম মুরশিদা-।

অর্থঃ আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী (মুর্শিদ) ও সাহায্যকারী পাবেন না।
.
সুরায় তওবা ১১৯নং আয়াতে কারিমায় ইরশাদ করেন,
উচ্চারণঃ “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তা-কুল্লাহা ওয়া কুনু মা’য়া সাদেক্বীন।”

অর্থঃ হে ঈমানদার গণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের বা কামেল অলীগনের সঙ্গ লাভ কর।
.
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৫৯
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।
.
সূরা বনী-ইসরাঈল (الإسرا), আয়াত: ৭১
স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক দলকে তাদের নেতাসহ আহবান করব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না।
.
আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না।__(সূরা আল কাহফ (الكهف), আয়াত: ১৭)।
.
সূরা ইয়াসীন (يس), আয়াত: ২১
অর্থঃ অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
.
সূরা আল আরাফ (الأعراف), আয়াত: ১৮৬
আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন। তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। আর আল্লাহ তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে মত্ত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন।
.
সূরা আল আরাফ (الأعراف), আয়াত: ১৮৬
আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন। তার কোন পথপ্রদর্শক (পীর) নেই। আর আল্লাহ তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে মত্ত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন।
.
সূরা বনী-ইসরাঈল (الإسرا), আয়াত: ৭২
যে ব্যক্তি ইহকালে অন্ধ ছিল সে পরকালেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রান্ত।

আল্লাহর ওলিদের ভয় নাই তারা অমর:

সূরা ইউনুস (يونس), আয়াত: ৬২

উচ্চারণঃ আলাইন্না আওলিয়াআল্লা-হি লা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।

অর্থঃ মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।
.
সূরা মায়েদা ৩৫নং আয়াতে কারিমায় ইরশাদ করেন;
উচ্চারণঃ “ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তা-কুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলায়হিল ওয়াসিলাতা ওয়া জাহিদু ফী সাবিলিহী লায়াল্লাকুম তুফলিহুন।”

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার জন্য ওসীলা (মাধ্যম) সন্ধান কর এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের রাস্তায় সাধনা কর, তবেই তোমরা মুক্তি লাভে সফল হবে।

বাইয়াত না হয়ে মৃত্যুবরন করার ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর হুশিয়ারী:

হে ঈমানদারগন আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় কর পরিপূর্ণভাবে এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরন করিও না।__(আল ইমরান ১০২)।

এ আয়াতে মুসলিম শব্দ টি সিলমুন শব্দ হতে এসেছে। যার অর্থ হল আত্মসমর্পণ করা। আর আত্মসমর্পনের নামই হলো বায়াত।
.
মিশাকাত শরীফে প্রথম পরিচ্ছেদ এ ২৭০ পৃঃ উল্লেখ আছে:-

আর যে ব্যাক্তি বায়াত গ্রহন করা ব্যাতিত মৃত্যু বরন করলো সে ব্যাক্তি জাহেলী যুগের ন্যায় (আল্লাহ ও রাসুলকে) না চিনে মৃত্যু বরন করল (মুসলিম শরীফ)।
.
নিরবাস শরহে আকায়েদ নসফীর ৩১৫ পৃঃ উল্লেখ আছে-

যে ব্যাক্তি জামানার (শরীয়ত ও তরীকতের) ইমাম না চিনে মারা গেল সে যেন জাহেলী যুগে মৃত্যু বরন করল। অতএব, বাইয়াত না হয়ে মারা যাওয়ার মানে বে ওয়ারিশ মরাদেহ। হাশরের দিন না নবী তার পাশে থাকবে, না কোন অলি।

মিথ্যা সম্পর্কে দলিল:

ধ্বংস হোক তারা, যারা আন্দাজে কথা বলে।
__(সূরা যারিয়াত-১০)।
.
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারী দের।
__(সূরা আল মুরসালাত-১৫)।
.
আর যখন তুমি তাদের (মুনাফিকদের) প্রতি তাকিয়ে দেখবে তখন তাদের শরীর তোমাকে মুগ্ধ করবে। আর যদি তারা কথা বলে তুমি তাদের কথা (আগ্রহ নিয়ে) শুনবে। তারা দেয়ালে ঠেস দেয়া কাঠের মতই। তারা মনে করে প্রতিটি আওয়াজই তাদের বিরুদ্ধে। এরাই শত্রু, অতএব এদের সম্পর্কে সতর্ক হও। আল্লাহ এদেরকে ধ্বংস করুন। তারা কিভাবে সত্য থেকে ফিরে যাচ্ছে।__(সূরা মুনাফিকুন-৪)।

রাসূল স: নূরের তৈরি এর দলিল:

সূরা আল মায়িদাহ (المآئدة), আয়াত: ১৫
উচ্চারণঃ ইয়াআহলাল কিতা-বি কাদ জাআকুম রাছূলুনা-ইউবাইয়িনুলাকুম কাছীরাম মিম্মাকুনতুম তুখফূনা মিনাল কিতা-বি ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীরিন কাদ জাআকুম মিনাল্লাহি নূরুওঁ ওয়া কিতা-বুম মুবীন।

অর্থঃ হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল নূর এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।
.
সূরা আল আহযাব (الْأحزاب), আয়াত: ৪৬:
অর্থঃ এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।

রাসূলের ওপর দরূদ ও সালাম সম্পর্কে দলিল:

সূরা আল আহযাব (الْأحزاب), আয়াত: ৫৬
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করো।

উপরোক্ত আয়াতে বিশেষভাবে লক্ষনীয়, আল্লাহপাক সমস্ত এবাদত ও বন্দেগী থেকে বেনেয়াজ তথাপি আল্লাহপাক সর্বদা তেনার হাবিবের প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করে থাকেন এবং দরুদই হল একমাত্র এবাদত যাতে আল্লাহপাক ও তার বান্দাদের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ইহা আল্লাহ পাকের একটি হুকুম যা পালন করা ওয়াজিব।
.
“রাসুলে পাক (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পড়েন আল্লাহ পাক তার উপর ১০টি রহমত নাজিল করেন, তার ১০টি গুনাহ মাফ করেন, ১০টি উচ্চমর্যাদা দান করেন ও দশটি নেকি তার আমলনানায় দান করেন”।__(আহমদ, মিশকাত ও নেসায়ী শরীফ)।

তিনি আরো এরশাদ করেন-“কৃপণ ঐ ব্যক্তি যে আমার নাম শোনার পরে দরুদ পাঠ করে না”।__(তিরমিজি,মসনদে ইমাম আহমদ)।
.
হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্নিত- “তিনি বলেন নিশ্চয়ই দোয়া আসমান ও জমিনের মধ্যে শূন্যে অবস্থান করতে থাকে, কোনো কিছুই আল্লাহর দরবারে পৌছায় না যতক্ষণ না নবীর উপর দরুদ পাঠ করা হয়”।__(তিরমিজি)।
.
আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) বলেন- রাসুলে পাক (সাঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম প্রেরন করা, গোলাম আযাদ করার চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ন মোটকথা ইহা রাসুল (সাঃ) এর নূর ও বরকতের উৎস এবং সকল সৎ কাজ ও সৌভাগ্যের চাবিকাঠি।__(মাদারেজুন নবুওয়ত)।

রাসূল সাঃ হাজির নাজিরের দলিল:

সূরা আল আযহাব (الْأحزاب), আয়াত: ৪৫
হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।

রাসূল স: গায়েব জানেন এর দলিল:

সূরা আত-তাকভীর (التّكوير), আয়াত: ২৩ -২৪
উচ্চারণঃ ওয়া লাকাদ রাআ-হু বিলউফুকিল মুবীন।
ওয়ামা-হুওয়া ‘আলাল গাইবি বিদানীন।

অর্থঃ তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।

হালাল গান-বাজনা জায়েজ এর দলিল:
যে গান আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেয়, ভাল কাজের প্রেরনা জোগায় সে গান জায়েজ।

পবিত্র কোরানে এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য আছে! তাই আমরা গান বাজনাকে হারাম বলার আগে তা আলোচনা করে নিজেদের উক্তি দেওয়া উচিত।

আল্লাহ এবং তার রাসূলের ভক্তদের জন্য গান বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ, ফুর্তির জন্য গান বাজনা করা হয়, তা হারাম বলে গন্য হবে!

নিম্নে গান বাজনা সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়া হলোঃ

১) আমার রাসূল (সাঃ) এর ইন্তেকালের আগে তার ঋন ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে, ঢোল বাজিয়ে রাসূলের ঋন ক্ষমা চেয়েছিলেন সেদিন! সাক্ষী তার (তাওয়ারীতে মোহাম্মদী)

২)খাজা মইনুদ্দীন চিশতী বড় পীরকে গান শুনিয়েছিলেন, নিশ্চয় রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান,, মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান!! সেদিন আকাশ, জমিন একসাথে নৃত্য করেছিলো খাজা বাবার গানের ছন্দে, সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৪র্থ খন্ড!!

৩)মুসলমানদের জানমালের হেফাযতে রাসূল বিল্লালকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য অনুমতি দিলে, বিল্লাল গলায় ঢোল নিয়ে তা প্রচার করেছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৩য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!!

৪)রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলো, কিন্তু ঢোলকে নয়! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ষষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা!!

৫)খাজা বাবা এবং তার পীর ওসমান হারুনি, খানকার মজলিসে বসে গান শুনতেছিলেন! আসরে ৯ব্যক্তি ছিলো তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক ছিলো, কিন্তু তারা ছিলো না! খাজা বাবা তার পীরকে জিজ্ঞেস করলে, ওসমাম হারুনি বলেন! তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে! তারা আর কখনো এ পৃথীবিতে ফিরে আসবে না। সাক্ষী তার (আনিসুল আরোহা) ৮৮ পৃষ্ঠা!!

৬)রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে! মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢব বাজাইয়া রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন! রাসূল সেদিন গান কে হারাম বলেন নি,! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড, ২২২পৃষ্ঠা!!

৭)আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ২২৩পৃষ্ঠা।

৮)রাসূল (সাঃ) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন, তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন! আবু বক্কর মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বক্কর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা!!

৯)একদিন জিব্রাঈল রাসূলকে সংবাদ দিলেন, তার গরীব উম্মৎ গন ধনী উম্মতদের ৪শত বছর আগে জান্নাতে যাবে! সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্য কে গান জানো? তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (কুৎনীত শরীফ) ৩৩৭পৃষ্ঠা!!

১০)রাসূল মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে, সেদিন বলেছিলেন হে মূসা নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন! সাক্ষী তার (মূল বুখারী শরীফ) ৭৫৫পৃষ্ঠা!

১১)সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪পৃষ্ঠা পর্যন্ত তার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে!

১২)পবিত্র কাবা তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা!!

১৩)মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা।

সম্মান সম্পর্কিত দলিল:

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করে আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত করে।__(সূরাঃ আল ইমরান-২৬)।
.
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। __(সূরাঃ আলহাজ্জ-১৮)।

বিপদ ও গজব নিজেরই কর্মফল:

আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।__(সূরা ইউনুস-আয়াত: ৪৪)।
.
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।__(সূরা আশ্‌-শূরা, আয়াত: ৩০)।

জিহাদ সম্পর্কে দলিল:

সূরা আত-তাওবাহ্ (التوبة), আয়াত: ৭৩

অর্থঃ হে রাসূল, কাফেরদের সাথে জিহাদ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।

মসজিদে ঘুমানো নিষেদের দলিল:

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন;

“তিন মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে সফর করা যাবেনা।

‘মসজিদে হারাম(মক্কা), মসজিদে নববী (মদিনা), এবং মসজিদে আল আকসা(বায়তুল মুকাদ্দাস)’__(বুাখরীঃ হা/১১৮৯, মিশকাত হা/৬৯৩, এবং মুসলিম শরীফ)।
.
তোমরা মসজিদকে ঘুমাবার স্থান বানাইও না।__(উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী,৫ম খন্ড ৪৪৬পৃঃ)।

প্রবিত্র স্থানে আদবে প্রবেশের দলিল:

আর যখন আমি বললাম, তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে থাক এবং দরজার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করার সময় সেজদা করে ঢুক, আর বলতে থাক-‘আমাদিগকে ক্ষমা করে দাও’-তাহলে আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎ কর্মশীলদেরকে অতিরিক্ত দানও করব।__(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ৫৮)।

জিকির সম্পর্কিত দলিল:

উচ্চারণঃ উতলুমাঊহিয়া ইলাইকা মিনাল কিতা-বি ওয়া আকিমিসসালা-তা ইন্নাসসালা-তা তানহা-‘আনিল ফাহশাই ওয়াল মুনকারি ওয়ালাযিকরুল্লা-হি আকবারু ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তাসনা‘ঊন।

অর্থঃ আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।__(সূরা আল আনকাবূত (العنكبوت), আয়াত: ৪৫)।

মায়ের পায়ে চুমু বা কদম্বুসীর দলিল:

রাসূলে কারীম (সঃ) ইরশাদ করেন:- যে ব্যক্তি তার মায়ের পা চুম্বন করবে সে যেনো জান্নাতের চৌকাঠ চুমু খেলো।__(মাবসুত লিস সারাখছি: ১০খণ্ড, ১৪৯ পৃষ্ঠা)।

মাজার ও কবর জিয়ারত বা হাত তুলে দোয়া চাওয়ার দলিল:

ইমাম শাফেয়ী রহঃ বলেন:- নিশ্চয়ই আমি ইমাম আবু হানিফা রঃ হতে বরকত হাসিল করি এবং আমি তার রওজায় জিয়ারত করতে আসি। আমার যখন কোন প্রয়োজন পড়ে তখন আমি দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার কবরে আসি এবং তার পাশে দাড়িয়ে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করি। অতঃপর আমি সেখান থেকে আসতে না আসতেই আমার প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে যায়।__(ফতোয়ায়ে শামী, খন্ড ১, পৃঃ ১), (তারিখে বাগদাদ, খন্ড ১, পৃঃ ১২৩), (রুদ্দুল মুখতার খন্ড ১ পৃঃ ৪১), (আল খায়রাতুল হাসান, পৃঃ ৯৪)।
.
শাহ আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী রহঃ যিনি সকলের কাছে মান্য ও গ্রহণযোগ্য, এবং যিনি প্রচ্যের
বুখারী হিসেবে পরিচিত। তিনি তার কিতাবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন;

হযরত মুছা কাজেম এর কবর শরীফ দোআ কবুল হবার জন্য পরশ পাথরের মত পরীক্ষিত!__(আশিয়াতুল লুমআত (খন্ড ২ পৃঃ ৯২৩)।

বিয়ে কতটি করা ফরজ ও তার দলিল:

আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।__(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৩)।
.
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।__(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ২৩)।

কিয়ামত সম্পর্কে:

তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন।__(সূরা হুদ (هود), আয়াত: ১০৭)।
.
আর যারা সৌভাগ্যবান তারা বেহেশতের মাঝে, সেখানেই চিরদিন থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রভু অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। এ দানের ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়।__(সূরা হুদ (هود), আয়াত: ১০৮)।

রাতের শেষ ভাগের ইবাদতের গুরুত্ব:

রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও।__(সূরা ক্বাফ (ق), আয়াত: ৪০)।
.
আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।__(সূরা হুদ (هود), আয়াত: ১১৪)।
.
তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং রাতের গভীরে তারা সেজদা করে।__(সূরা আল ইমরান (آل عمران), আয়াত: ১১৩)।
.
অতঃপর তারা যদি অহংকার করে, তবে যারা আপনার পালনকর্তার কাছে আছে, তারা দিবারাত্রি তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্ত হয় না।__(সূরা হা-মীম সেজদাহ্‌ (فصّلت), আয়াত: ৩৮)।
.
রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত।__(সূরা আয-যারিয়াত (الذّاريات), আয়াত: ১৮)।

শবে কদরের রাত্রের গুরুত্ব ও দলিল:

সূরা আদ-দুখান (الدّخان), আয়াত: ২
উচ্চারণঃ ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
অর্থঃ শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
.
সূরা আদ-দুখান (الدّخان), আয়াত: ৩
উচ্চারণঃ ইন্নাআনঝালনা-হূফী লাইলাতিম মুবা-রাকাতিন ইন্না-কুন্না-মুনযিরীন।
অর্থঃ আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
.
সূরা আদ-দুখান (الدّخان), আয়াত: ৪
উচ্চারণঃ ফীহা-ইউফরাকুকুল্লুআমরিন হাকীম।
অর্থঃ এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।

সেজদা সম্পর্কে:

তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।__(সূরা আল হাজ্জ্ব (الحجّ), আয়াত: ১৮)।

বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে রাসূল প্রেরণের দলিল:

সূরা আল হিজর (الحجر), আয়াত: ১০
অর্থঃ আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি।
.
সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ৬৩
অর্থঃ আল্লাহর কসম, আমি আপনার পূর্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে রাসূল প্রেরণ করেছি, অতঃপর শয়তান তাদেরকে কর্ম সমূহ শোভনীয় করে দেখিয়েছে। আজ সেই তাদের অভিভাবক এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
.
সূরা ফাতির (فاطر), আয়াত: ২৪
অর্থঃ আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
.
সূরা ইউনুস (يونس), আয়াত: ৪৭
অর্থঃ আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একেকজন রসূল রয়েছে। যখন তাদের কাছে তাদের রসূল ন্যায়দন্ডসহ উপস্থিত হল, তখন আর তাদের উপর জুলুম হয় না।
.
সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ৩৬
অর্থঃ আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।
.
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ১৬৪
অর্থঃ এছাড়া এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের ইতিবৃত্ত আমি আপনাকে শুনিয়েছি ইতিপূর্বে এবং এমন রসূল পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত আপনাকে শোনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে কথোপকথন করেছেন সরাসরি।
.
সূরা আল মু’মিন (غافر), আয়াত: ৭৮
অর্থঃ আমি আপনার পূর্বে অনেক রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সমকামিতার শাস্তির দলিল:

তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়।__(সূরাঃ আন নামল-৩৪)।
.
তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।__(সূরাঃ আরাফ-৮১)।

মানুষের মধ্যেই আল্লাহ থাকেন, তার দলিল:

আমি তোমাদের দিলে (ক্বালবের ৭ম স্তর নফসীর মাকামে) অবস্হান করি, তোমরা কি দেখনা?__(সূরা- জারিয়াত, আয়াত-২১)।
.
আমি তাঁর (মানুষের) শাহরগের চেয়েও নিকটে।__(সূরা- ক্বাফ, আয়াত-১৬)।
.
আর তোমরা যেখানে থাকো, তিনি (আল্লাহ্) তোমাদের সাথে আছেন।__(সূরা- হাদিদ, আয়াত- ৪)।
.
আমি আসমান, যমীন ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত পেশ করেছিলাম, তারা তাঁ বহন করতে অস্বীকার করল এবং তাতে শষ্কিত হল, কিন্ত মানুষ তা বহন করল; সে কত যালিম, কত অজ্ঞ।__(সূরা- আহযাব, আয়াত- ৭২)।

বিপদ ও গজব নিজেরই কর্মফল:

আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।___(সূরা ইউনুস, আয়াত: ৪৪)।
.
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।___(সূরা আশ্‌-শূরা, আয়াত: ৩০)।

তিনজনকে অনুসরণ করার হুকুম:

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।__(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৫৯)।

অহংকারী সম্পর্কে:

অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।__(সূরা লোক্‌মান (لقمان), আয়াত: ১৮)।

নারী সম্পর্কে:

সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ১১৭
তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে।
.
সূরা ইউসুফ (يوسف), আয়াত: ২৮
অতঃপর গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পেছন দিক থেকে ছিন্ন, তখন সে বলল, নিশ্চয় এটা তোমাদের ছলনা। নিঃসন্দেহে তোমাদের ছলনা খুবই মারাত্নক।
.
সূরা আল ইমরান (آل عمران), আয়াত: ১৪
মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত অশ্ব, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়।

চুরির বিধান সম্পর্কে দলিল:

যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।

আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান।
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।__(সূরা আল আনফাল (الأنفال), আয়াত: ২৪)।

নেশাগ্রস্থ মসজিদে প্রবেশ নিষেদ সম্পর্কে দলিল:

হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।__(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪৩)।

রাসূলগণ কেন মানুষের আকৃতি:

যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।__(সূরা আল আনআম (الانعام), আয়াত: ৯)।

রোযার রাতে সহবাস করা হালাল করা হয়েছে:

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে।__(সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ১৮৭)।

আল্লাহ ও তার রাসূলের মাঝে পাথক্য:

সূরা আল ফাত্হ (الفتح), আয়াত: ৯
যাতে তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর।
.
সূরা আল ফাত্হ (الفتح), আয়াত: ১০
যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। অতএব, যে শপথ ভঙ্গ করে; অতি অবশ্যই সে তা নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং যে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন।
.
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৮০
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।
.
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ১৫০
যারা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি কিন্তু কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়।
.
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ১৫২
আর যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর রসূলের উপর এবং তাঁদের কারও প্রতি ঈমান আনতে গিয়ে কাউকে বাদ দেয়নি, শীঘ্রই তাদেরকে প্রাপ্য সওয়াব দান করা হবে। বস্তুতঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু।
.
সূরা আল আহযাব (الْأحزاب), আয়াত: ৭১
তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।
.
সূরা আল আহ্‌যাব (الْأحزاب), আয়াত: ৩১
তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব এবং তার জন্য আমি সম্মান জনক রিযিক প্রস্তুত রেখেছি।