আহলে বায়েত কারা এবং পাক পাঞ্জাতন এর অর্থ।

আহলে বায়েত কারা এবং পাক পাঞ্জাতন এর অর্থ।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি এ দু’টিকে আকঁরে ধর কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। যার প্রথমটি হচ্ছে, পবিত্র কোরআন ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার ইতরাত, আহলে বাইত, যদি একটিকেও ছাড় তবে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।”

আহলে বায়েত সম্পর্কে আল কোরআনে যেসমস্ত আয়াত রয়েছে নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ

  • সূরা শুরা, আয়াত: ২৩।
  • সূরা আহযাব, আয়াত: ৩৩।
  • সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৬১, ১০৩।
  • সূরা হুদ, আয়াত: ৭৩।
  • সূরা তোয়াহ, আয়াত: ৮২।
  • সূরা নিসা, আয়াত: ৫৪।
  • সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩।
  • সূরা দোহা, আয়াত: ৫।
  • সূরা বাইয়েনা, আয়াত: ৭।
  • সূরা সাফফাত, আয়াত: ১০৭।

আহলে বায়তগনের পরিচয়ঃ

আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত হলেন নবী মুহাম্মদ (সাঃ), তাঁর কন্যা ফাতিমা (আঃ), তাঁর জামাতা আলী (আঃ) এবং তাঁদের সন্তান ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ)। সম্মিলিতভাবে যাদেরকে আহল আল-কিসা (চাদরাবৃত লোক) বলা হয়।

অর্থাৎ, এই পাচঁজনকে মিলিয়ে পাক পাঞ্জাতন বলে।

পাক পাঞ্জাতন শব্দের অর্থঃ

পাক = পবিত্র
পাঞ্জা = পাঁচ
তন = দেহ।
অর্থাৎ, পাক-পাঞ্জাতন শব্দের পূণ্য অর্থ হলো, “পবিত্র পাঁচ দেহ মোবারক।”

কোরআনের আয়াত থেকেও সুস্পষ্ট যে ‘আল্লাহর কোরআন’ ও নবীর বংশধর- আহলে বাইতকে আলাদা করা যাবে না। এবং শক্ত করে আকরে ধরতে হবে, তা নাহলে আল্লাহর কোরআন এবং রাসূল সাঃ এর কথাকে অস্বীকার করা হবে।

আহলে বায়েতের ওপর পূণ্য মহব্বত করতে হলে, রাসূল পাক সাঃ এর ওপর পূণ্য মহব্বত এবং তার পরিবারের সদস্য (আহলে বায়েতদের) হযরত আলি, মা ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন আঃ কে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে। কেননা ইহা আল্লাহরই হুকুম।

লেখকঃ নিশাত ওয়াহিদ।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel