ইয়াজিদের কাফেলাতেও আযান হতো, নামাজ পড়তো।
হে মুসলমান! কারবালাতে ইয়াজিদের কাফেলাতেও আযান হতো, নামাজ পড়তো। অথচ তারা ছিলো এমন নামাজী যারা নবী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে নামাজের বৈঠকে গিয়ে দুরুদে ইবরাহিম পড়ার সময় মুখে বলতো– ‘আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ’।
তারা ছিলো এমন নামাজি, যারা হোসাইন (আ.) এর শির ছেদ করার জন্য তাড়াহুড়ো করেছে যাতে আছরের নামাজ কাজা না হয়। বর্তমানে ইয়াজিদি মুসলমান চেনা উপায় হলো এই– যারা হোসাইনের শোক ও শাহাদত দিবসের স্মারক অনুষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধাচারণ করে ‘নামাজ’ ‘নামাজ’ বলে লাফালাফি করে। আরে কারবালাতে ইয়াজিদিরাও নামাজ পড়তো। কথিত আছে, সীমার যখন ঘুমাতো তখন তাঁর মুখ থেকে নাকি ‘আল্লাহ, আল্লাহ’ শব্দ বের হতো।
এদের মুখে দাঁড়ি ছিলো, টুপি ছিলো, জুব্বা ছিলো, কোরআন ছিলো কিন্তু নবী ও আহলে বাইতের ভালোবাসা ছিলো না। অথচ কোরআনে কোথাও লেখা নাই নামাজ মানুষকে বেহেশত দিতে পারে। কোরআনের কোথাও লেখা নাই, আল্লাহ পাক রিসালাতের পারিশ্রমিক হিসেবে নামাজ রোজা চান। বরং কুরআনে স্পষ্ট বলা আছে– ❝হে হাবীব, আমি আমার রিসালাতের বিনিময়ে কোনো কিছুই চাইনা, কেবল আপনি নবী ও আহলে বাইতের ভালোবাসা ব্যতীত❞। (সুরা শুরা-২৩)
আর হোসাইনের শাহাদাতে শোক করা মূলত ভালোবাসার স্বাক্ষর। যারা স্মারক অনুষ্ঠানদি কে উপেক্ষা করে শুধু নামাজ নামাজ করে, তারাই ইয়াজিদি। কেননা সীমার তাড়াহুড়ো করেছিলো যাতে হোসাইনের (আ.) শিরছেদ করতে বিলম্বের জন্য নামাজ যেনো কাজা না হয়। বর্তমানে যারা তাড়াহুড়ো করে নামাজ নিয়ে লাফালাফি করে ইয়াদগার কর্মকাণ্ড (শোক মাতম,জারি, তাজিয়া) কে উপেক্ষা করে তারাও ইয়াজিদি।
_ আসিব মিয়া