পাক পাঞ্জাতনের উসিলায় আদম হাওয়ার গুনাহ মাফ।
আজহারুল মাতালিব কিতাবে বর্ণিত আছে যে, বেহেশতে একদিন হযরত আদম (আ:) আল্লাহপাককে বললেন-হে পাক পরওয়ারদিগার! আমার চেয়ে প্রিয় কোন কিছু কি আপনি তৈরী করেছেন? এ কথার কোন জবাব আদম (আ:) আল্লাহপাকের পক্ষ হতে না পেয়ে আবারো একই প্রশ্ন করলেন। এভাবে তিনবার কোন উত্তর না পেয়ে চতুর্থবার ওয়াস্তাগফার পাঠ করলেন। তারপর আল্লাহপাক বললেন: হে আদম! আমি যদি তাদেরকে পয়দা না করতাম,তবে তোমাকেও পয়দা করতাম না। হযরত আদম (আ:) আল্লাহর সেই প্রিয়জনদেরকে দেখার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানালেন।
আল্লাহপাক আদমের প্রার্থনার বিনিময়ে ফেরেশতা- গণকে আরশের পর্দা উঠানোর জন্য হুকুম করলেন।ফেরেশতারা যখন আরশের পর্দা উঠালেন তখন হযরত আদম (আ:) পাঁচটি সূরত দেখতে পেলেন। হযরত আদম (আ:) আল্লাহপাকের নিকট জানতে চাইলেন এরা কারা? আল্লাহপাক তখন পরিচয় করে দিলেন- ইনি আমার প্রিয় হাবিব ও আখেরী পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ (সা:), ইনি আমিরুল মোমেনীন হযরত আলী (আ:), ইনি আখেরী পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর মেয়ে হযরত ফাতেমা (আ:), আর ইনারা দু’জন মাওলা আলী (আ:) এর দু’সন্তান হযরত হাসান (আ:) ও হযরত হুসাইন (আ:)।
হযরত আদম (আ:) উক্ত পাঁচজনের পরিচয় জানার পর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। অতঃপর হযরত আদম (আ:) মা হাওয়া (আ:) কে যখন বেহেশতে গন্দম খাওয়ার অপরাধে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয় তখন তারা ৩৫০ বছর কেঁদে ছিলেন। পরবর্তীতে তাদের ভূল ও নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ঐ পাঁচ জনের উছিলা দিয়ে গুণা মাফের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন এবং আল্লাহপাকও মাফ করে দিয়ে ছিলেন।
আবার কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, হযরত আদম ও হাওয়া (আ:)- হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর উছিলায় আল্লাহপাক তাদের গুণাহ মাফ করেছিলেন।
-(আশ শিফা-১ম খন্ড)।
সে যাই হোক, আসলে হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর সাথে আহলে বাইতের বাকি চার জন সদস্য অতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে চির বর্তমান স্থিত আছে।
সুত্রঃ “শানে পাক পাঞ্জাতন।” / ও “বেহুশের চৈতন্য দান।”