দেলী মুরীদগণের পীর ভক্তির বিবরণঃ
যে সকল মুরীদ প্রকৃত পক্ষেই আল্লাহ পাককে পাওয়ার পথে আকাংখি হন, তাঁহাদের মনে আল্লাহ পাকের প্রেম এতই প্রবল ভাবে আবির্ভূত হয় যে, ঐ পথের প্রদর্শক পীরকেও আপন প্রাণ, সন্তান-সন্ততি ও সহায়-সম্পত্তি হইতেও অধিক প্রিয় মনে করেন। আপন পীর ছাহেব কেবলাকে সন্তুষ্ট করিতে, তদীয় হুকুম প্রতিপালনে নিজের ধন ও প্রাণের মায়াকে তুচ্ছ মনে করেন। যাহাতে আপন পীর সদয় থাকেন সতত সেই চেষ্টায় ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে তাঁহার সেবা করিতে প্রস্তুত থাকেন।
পীরকে অভীষ্ট সিদ্ধির উপায় জানিয়া মুরীদ তাঁহার ভালবাসায় এমন মত্ত হয় যে, তাঁহার স্মরণে আপনাকে ভুলিয়া যায় এবং যে দিকে তাকায় সেই দিকেই আপন পীরকে দেখিতে পায়। প্রকৃত প্রস্তাবে মুরীদ ঐ রূপ না হইলে সম্পূর্ণ রূপে মাঞ্জিলে মাজ্জুদে’ পৌঁছান তাহার পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। খোদাতায়ালার দোস্তদিগকে ভালবাসা খোদাতায়ালাকে ভালবাসারই প্রমাণস্বরূপ জানিতে হইবে। মুনিবের গুণগানকারী ও বার্তাবহ সংবাদদাতাকে সমাদর ও সম্মান করিলে মুনিবকেই সম্মান করা হয়।
একদিন হযরত জিব্রাইল (আঃ) আল্লাহতায়ালার নিকট নিবেদন করিলেন, “হে রাব্বুল আ’লামীন! আপনি কি কারণে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে দোস্ত বলিয়াছেন?” বাণী হইল “প্রেমের জন্য; সে আমাকে যারপরনাই প্রেম করে; উহার নিকট গেলে জানিতে পারিবে।” ইহা শুনিয়া হযরত জিব্রাইল (আঃ) এক দরিদ্রের বেশ ধারণ করিয়া হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বাড়ীর নিকট এক স্থানে উপস্থিত হইলেন এবং মধুর সুরে আল্লাহতায়ালার গুণগান করিতে লাগিলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাহা শুনিয়া অধির হইয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন এবং ঐ গুণগান শুনিয়া তিনি কাঁদিতে লাগিলেন।
জিব্রাইল (আঃ) এই অবস্থা দেখিয়া চুপ করিলেন। এমন সময় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কাতর স্বরে বলিতে লাগিলেন, “হে গায়ক! খোদার দিকে দৃষ্টি করতঃ আর কিছুক্ষণ গান কর।” হযরত জিব্রাইল (আঃ) আবার গুণগান করিতে শুরু করিলেন। ইব্রাহীম (আঃ) পূর্বাপেক্ষা অধিক ব্যাকুল হইয়া কাঁদিতে লাগিলেন। জিব্রাইল (আঃ) চমৎকৃত হইয়া আবার চুপ করিলেন। তখন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, “আমার সমস্ত সম্পদ ও টাকা পয়সা যাহাকিছু আছে, সবই আপনাকে দিলাম। আপনি অধিকভাবে খোদাতায়ালার মহিমার গুণগান করুন।” জিব্রাইল (আঃ) আবার গাইতে আরম্ভ করিলেন এবং ক্ষণকাল পরে আবার থামিলেন, তখন হযরত
খলিলুল্লাহ (আঃ) নিবেদন করিলেন, “আমার সমস্ত পরিবারবর্গকে আপনার অধীন করিয়া দিলাম। আপনি পূর্বাপেক্ষা আরও অধিক গুণগান করুন। হযরত জিব্রাইল (আঃ) আবার গাইতে আরম্ভ করিলেন এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত গুণগান করিয়া চুপ করিলেন। তখন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) বলিলেন, “এখন কেবল আমার প্রাণ অবশিষ্ট আছে, ইহাও আমি আপনাকে দান করিলাম। আপনি পূর্বাপেক্ষা আরও বেশী আল্লাহ পাকের গুণগান করুন।” তখন গায়ক আবার গুণগান আরম্ভ করিলেন। গুণগান সমাপনান্তে হযরত খলিলুল্লাহ (আঃ) গায়কের হাত ধরিয়া আপন বাড়িতে লইয়া গেলেন এবং সমস্ত পরিবারবর্গ ও সম্পত্তি সমর্পণ করিয়া বলিলেন, “আমিও জীবিত কাল পর্যন্ত আপনার অনুগত রহিলাম।” এইবার হযরত জিব্রাইল আমীন (আঃ) নিজের পরিচয় ব্যক্ত করিলেন এবং বলিলেন, “এই জন্যেই আল্লাহপাক আপনাকে দোস্ত বলিয়াছেন। আপনি তাহারই উপযুক্ত।” ইহা বলিয়া তিনি অদৃশ্য হইয়া গেলেন।
সংসারে যাহারা প্রকৃত তালেব তাহাদের অবস্থাও ঐরূপ। তাহারাও পরম পবিত্র খোদাতায়ালার গুণগানকারী পীরে কামেলকে নিজ প্রাণাপেক্ষা ভালবাসে। মূলতঃ পীরের প্রতি মহব্বতে জাতি’ পয়দা না হইলে পীরের যে কোন হুকুম পালন করা মুরীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু তরিকতের পথে পীরের যে কোন হুকুম পালন করা মুরীদের শর্ত। এই জন্য পীরের হুকুম পালনে প্রয়োজন হয় মহব্বতের; প্রয়োজন হয় সাহসের।
এই প্রসংগে আমার জীবনের একটি ছোট্ট ঘটনা তোমাদের বলিঃ-
এখানে উল্লেখ্যঃ কেবলমাত্র তোমাদেরকে শিক্ষাদানের জন্যে আমার জীবনের দুই একটি ঘটনা বর্ণনা করিতেছি-অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। নতুবা আমারও ভয় হয়-নাজানি কোন রিয়া প্রকাশ পায় কিনা?
তরিকা প্রচার জীবনের শুরুর কথা। আমি তখন জাকের ক্যাম্পে থাকি। সেই সময়ে আলে খাঁ কান্দার একজন বৃদ্ধ এজমা বা হাঁপানি রোগীকে লইয়া এনায়েতপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলাম। সেই রোগী এমনই অসুস্থ ও দুর্বল ছিল যে, এক রশি হাঁটার ক্ষমতাও তাহার ছিল না। তাহাকে লইয়া চরভদ্রাসন স্টীমার ঘাটে গেলাম। স্টীমারে করিয়া স্থলচর ঘাটে গেলাম। সেখান হইতে বহু কষ্টে রোগীকে লইয়া এনায়েতপুর পৌঁছাইলাম। তিন দিন পীরের দরবারে থাকিলাম। তিন দিন অন্তে কেবলাজান হুজুর’ রোগীসহ আমাকে বিদায় দিলেন। বলিলেন, “রোগী লইয়া তুমি ফরিদপুরে যাও। রোগীকে তাহার বাড়ীতে পৌঁছাইয়া দিবে। তুমি ব্যতীত এমন অসুস্থ রোগী কেহ লইতে সাহস করিবে না।”
পীরের নির্দেশে রোগীসহ দরবার শরীফ ত্যাগ করিলাম। আল্লাহর কি ভেদ! আমরাও দরবার হইতে বাহির হইলাম; আর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হইল। এমতাবস্থায় কি করি? দরবারে ফেরত যাইব-তাহারও উপায় নাই। কারণ তাহা হইবে আদবের খেলাফ। অগত্যা বৃষ্টির মধ্যেই ভিজিয়া রওয়ানা হইলাম। রোগীর অবস্থা ক্রমশঃ আশংকার দিকে গেল। একেতো হাঁপানির রোগী, তাহার উপর বৃষ্টিতে ভেজা; ইহাতে রোগীর প্রাণবায়ু বাহির হওয়ার উপক্রম হইল। এমতাবস্থায় সেক দিতে পারিলে রোগীর কষ্টের কিছুটা উপশম হইত। কিন্তু কোথায়বা আগুন পাই, কোথায়বা পাটকাঠি পাই। সেই সময় জাকেরদের প্রতি এনায়েতপুরবাসীদের সুদৃষ্টি ছিল না।
চক্ষুলজ্জা পরিত্যাগ পূর্বক নিকটস্থ এক বাড়ীতে যাইয়া কিছু পাটকাঠি এবং আগুন চাহিলাম। রোগীর মরণাপন্ন অবস্থার কথা শুনিয়া লোকটির দয়া হইল। তিনি কিছু পাটখড়ি এবং একটু আগুন আমাদেরকে দিলেন। সেই পাটকাঠি জ্বালাইয়া আগুনের সাহায্যে রোগীর শরীরে উত্তাপ প্রয়োগ করিলাম। রোগীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হইল। অতঃপর আবার রওয়ানা হইলাম। পথিমধ্যে পড়িল বিশাল এক বিল। বিল পার হওয়ার কোন ব্যবস্থাই নাই। না আছে নৌকা; না আছে ভেলা। সাঁতরাইয়া বিল পার হওয়া ব্যতীত গত্যন্তর নাই। মহা বিপদে পড়িলাম। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলামঃ “সাঁতরাইয়া বিল অতিক্রম করিব। যদি রোগী পার করিতে না পারি, তবে রোগীর আগে আমিই মরিব।”
আমার সংগে আরও দুই জন জাকের’ ছিলেন। তাহাদিগকে বলিলাম যে, তোমাদেরকে আমি শক্ত করিয়া ভেলার মত বাঁধিয়া দেই। অতঃপর তোমাদের উপরে রোগীকে শোয়াইয়া দেই। তোমরা রোগীসহ সাঁতার দিবে; আর আমি তোমাদের এবং আমার বিছানাপত্রসহ সাঁতার দিব। তাহারা রাজী হইলেন। অতঃপর তাহাই করিলাম। বহু কষ্টে বিল পার হইলাম। তারপর আসিলাম স্থলচর ঘাটের দিকে। এখানে আসিয়া দেখি আর এক বিপদ। ঘাটের কিনারে একটি বট গাছ। প্রতি দিন বট গাছের উত্তরে স্টীমার নোংগর করে। কিন্তু আজকে স্টীমার নোংগর করিয়াছে বট গাছের দক্ষিণ পার্শ্বে।
বট গাছের দক্ষিণে নোংগরকৃত স্টীমারের নিকটে যাইতে ছোট্ট একটি খাল পার হইতে হইবে। খালটি তেমন চওড়া নহে বটে; কিন্তু ইহার গভীরতা ও স্রোত-উভয়ই বেশী। ছোট্ট একটি নৌকা দেখিতে পাইয়া ইহার মাঝিকে বলিলাম, “ভাই, আমরা বিপদগ্রস্থ, আমাদেরকে একটু উপকার করুন। খালের ঐ পারে আমাদেরকে নামাইয়া দেন।” লোকটি জিজ্ঞাসা করিল, “আপনারা কোথা হইতে আসিলেন?” জবাবে বলিলাম, “এনায়েতপুর দরবার শরীফ হইতে।” ইহা শুনিয়া লোকটি বিরক্তির ভাব চেহারায় আনিয়া বলিল, “আচ্ছা! আপনারা জাকের! আমি কোন জাকের আমার নৌকায় উঠাইব না।” আমি বলিলাম, “আপনাকে পঞ্চাশ টাকা দিব। আমাদেরকে পার করিয়া দিন।” জবাবে সে বলিল, “পঞ্চাশ কেন, পাঁচশত টাকা দিলেও নহে। কোন জাকের আমার নৌকায় উঠাইব না।” উপায়ান্তর না দেখিয়া দৌড়াদৌড়ি শুরু করিলাম।
একটু দূরে খালের পার্শ্বস্থিত এক জেলের বাড়ীর উঠানে একজন বৃদ্ধকে কাজে রত দেখিয়া দৌড়াইয়া তাহার নিকট গেলাম। বলিলাম, আমাদেরকে একটু দয়া করুন। আমাদের সাথে মুমূর্ষ রোগী। কিভাবে ঐ পারে যাইব? কোন নৌকা নাই। স্টীমার ধরিতে হইবে। স্টীমার এখনই ছাড়িবে। সেই বৃদ্ধ জেলে একটি ছেলের সহযোগিতায় পানিতে ডুবন্ত একটি নৌকা উঠাইয়া আমাদেরকে পার করিয়া দিলেন। আমি জেলেকে অন্ততঃ দশটি টাকা দেওয়ার চিন্তা করিয়া বলিলাম, “আপনি আমাদেরকে অনেক উপকার করিলেন। আপনাকে কিছু দিতে চাই।” ইহা শুনিয়া তিনি বলিলেন, “সামান্য একটু উপকার আপনাদের করিলাম। ইহার বিনিময়ও কি গ্রহণ করিতে হইবে? তদুপরি আপনারা গুরুর’ বাড়ী হইতে আসিয়াছেন।” লোকটির কথায় আমি লজ্জিত হইলাম। যাই হোক, বহু চড়াই-উৎরাই পার হইয়া স্টীমারে চড়িলাম। আল্লাহপাকের দয়া হইল। আমরা ফরিদপুরে আসিলাম। রোগীকে তাহার বাড়ী আলে খাঁ কান্দায় পৌঁছাইয়া দিলাম।
কাজেই তোমরা বুঝিলে, পীরের কঠিন হুকুম প্রতিপালনে জীবনকে বাজী রাখিয়া অগ্রসর হইতে হয়। এক্ষেত্রে পীরের মহব্বত প্রগাঢ় (মহব্বতে জাতি) না হইলে কৃতকার্য হওয়া অসম্ভব।
তাই হে মুরীদগণ! আপন পীরে কামেলের মহব্বত সদা সর্বদা নিজের দেলের মধ্যে জাগ্রত রাখ। খোদাতত্ত্বজ্ঞান কামেল পীরের খেদমত ব্যতীত অন্য কোন পথে কেহ লাভ করিতে পারিবে না, পারা সম্ভবও নয়। তাই সদা সর্বদা খেয়াল কালবে-কালব আল্লাহর দিক-আল্লাহকে হাজের, নাজের’, ওয়াহেদ’ জানিয়া হুজুরী কালবে” থাক। এক নিঃশ্বাসের জন্যও যেন আল্লাহ্পাকের জেকেরে ভুল না হয়। হর নিঃশ্বাসে আল্লাহকে স্মরণ রাখাই খোদাপ্রাপ্তির পথে মুরীদের একান্ত কাম্য হইতে হইবে। পীরের হুকুমের বাহিরে যাইও না। কারণ পীরের হুকুমের বাহিরে গেলে শয়তানের কুহকে বা নাক্সের কুহকে তোমাদের বিপদ ঘটিতে পারে। নিজের ইচ্ছামত পীরের হুকুমের বাহিরে কোন কাজ করিবে না। হরদম পীরের দেলের সহিত দেল লাগাইয়া থাক। তাহা হইলেই তোমরা ঐহিক ও পারত্রিক কল্যাণের অধিকারী হইতে পারিবে। কোন রকম বাজে কথা বা খারাপ চিন্তা না করিয়া চুপ-চাপ আল্লাহর ইয়াদে মশগুল থাক। মহাতাপস খাজাবাবা হযরত এনায়েতপুরী (কুঃ) ছাহেবের ইহাই নির্দেশ। এই নির্দেশ মানিয়া চল। অবশ্যই মাঞ্জিলে মাছুদে পৌঁছাইতে পারিবে।
আল্লাহতায়ালা তোমাদের মাঞ্জিলে মাছুদে পৌঁছাইবার সুযোগ দেন-ইহাই তোমাদের মুর্শিদ কামনা করেন। তাই সদা সর্বদা পীরের ধ্যানে ও খেয়ালে থাক-তাহা হইলে অবশ্যই মাঞ্জিলে মাজ্জুদে পৌঁছাইতে পারিবে। অতি ভাগ্যের জোরে মুর্শিদের বোল। অতি ভাগ্যের জোরে কামেল পীরের সান্নিধ্য ও সাহচর্য মেলে। কামেল পীরকে বোঝার জন্য আল্লাহপাক তোমাদের ঈমানকে দৃঢ় করিয়া দেন-ইহাই তোমাদের উপর দু’আ। আমীন!
টীকা
- ১। মাঞ্জিলে মাছুদ – কাংখিত স্থান।
- ২। মহব্বতে জাতি – সত্তার প্রেম।
এখানে উল্লেখ্য, মহব্বত দুই প্রকার। যথাঃ মহব্বতে সিফাতি ও মহব্বতে জাতি। গুণাবলী কেন্দ্রিক যে প্রেম তাহাই মহব্বতে সিফাতি এবং যে প্রেমে দোষ বা গুণের প্রতি লক্ষ্য থাকে না, লক্ষ্য থাকে কেবলমাত্র প্রেমাস্পদের সত্তা-তাহাই মহব্বতে জাতি। যেমন সন্তানের প্রতি মাতাপিতার প্রেম। সন্তান কালো, লেংড়া, খোড়া-যাই হোক না কেন; পিতামাতা সন্তানকে ভাল না বাসিয়া পারে না। ইহাই জাতি মহব্বত। - ৩। কেবলাজান হুজুর – উল্লিখিত অংশে কেবলাজান হুজুর বলিতে হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (কুঃ) কে বুঝানো হইয়াছে।
- ৪। জাকের – যিনি আল্লাহর জেকের করেন, তিনিই জাকের।
- ৫। গুরু – পথপ্রদর্শক, কামেল পীর।
- ৬। হাজের – সদা উপস্থিত থাকা।
- ৭। নাজের – সদা নজর বা দৃষ্টি রাখা।
- ৮। ওয়াহেদ – এক।
- ৯। হুজুরী কালব – যে অবস্থায় কালব আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জুহ থাকে-সেই অবস্থাকে হুজুরী কালব বলে।
সূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তিজ্ঞানের আলোকে- শাহসূফী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের “নসিহত” ১ম খন্ড (বিষয়ঃ আদাবুল মুরীদ)-এর অংশ বিশেষ।