আল্লাহর রহস্য নূরে মোহাম্মদ (সা:)।
এই পোষ্টে রহস্যময় কিছু কথা ব্যক্ত করা হয়েছে-সুতরাং সকল জ্ঞানীরা পাঠ করবেন।
আল্লাহপাক কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ক্বাদ যা আ কুম মিনাল্লাহে নূরুন ওয়া কেতাবুম মুবিন- (সুরা মায়িদা আয়াত ১৫)। “নি:সন্দেহে তোমার নিকট এসেছে খোদার তরফ হতে এক জ্যোতি নূর বা নূর। তোমাদের কাছে মর্যাদা মন্ডিত নূর এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যাদানকারী কিতাব এসেছে।” এখানে নবী করিম (সা:) কেই নূর বলা হয়েছে।
আল্লাহর কোরআনকে পাঠ এবং কিতাবের অধিকারী হতে হলে আলো বা নূরের প্রয়োজন এবং সেই নূর হলো নূরে মোহাম্মদী। যার হৃদয় প্রিয় নবীর নূর দ্বারা আলোকিত হবে না, কোরআন তার বোধগম্য হবে না। কোরআন যিনি বুঝাবেন তিনি নূরে মোহাম্মদীর আলোকে আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তি হবেন। আল্লাহ মূলত: আহম্মদ এবং মোহাম্মদের মাধ্যমে বিশ্ব সৃষ্টির মাঝে বিকশিত এবং বিরাজমান। আহম্মদ হচ্ছেন আধ্যাত্মিক জগতের প্রাণ কেন্দ্র আর মোহাম্মদ হচ্ছে সৃষ্টি জগতের প্রাণ কেন্দ্র। তিনি আহাম্মদ মোজতবা মোহাম্মদ মোজতবা।
রাসুল পাক (সা:) এর জাতি নাম দুটো মুহাম্মদ ও আহম্মদ।আরশের মালিক স্বীয় নাম মাহমুদ থেকে তার হাবিব (সা:) এর নাম মোহাম্মদ নির্গত করেছেন এবং কোরআন ঘোষণা করেছেন, মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ-মোহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। হযরত ঈসা(আ:)সংবাদ প্রদাণকালে ফরমালেন তার নাম আহম্মদ। এ উভয় নামের বেলায়েত বা নৈকট্য পৃথক। বেলায়েতে মোহাম্মদী মোহেব্বিয়াত বা মাহবুবিয়াত মোকাম হতে উদ্ধূদ্ধ। আহম্মদ একটি বিস্ময়কর নাম যার মোকাম অতি উর্দ্বে এবং অনেক উর্দ্বে যা পবিত্র আহাদ বাক্য ও শব্দের মীম অক্ষরের বলয়ে সংগঠিত। উভয় নামই আল্লাহপাকের প্রকার বিহীন জগতের গুপ্ত রহস্য সমুহের এক রহস্য।উক্ত রহস্য অন্যভাবে বর্ণনা করার কোন অবকাশ নাই।
আল্লাহপাক আহাদ অর্থাৎ তিনি এক এর মধ্যে একক। তিনি সমকাল রহিত। মিম অক্ষরের বলয় দাসত্বের বেড়ী ও বন্ধন তুল্য যার দ্বারা দাস প্রভূ হতে পৃথক হয়েছে,তৎসঙ্গে আহাদ শব্দ উক্ত দাসের সন্মান ও বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে যা আল্লাহ পাকের নিছক পবিত্র জাতের অতি নিকটবর্তী।তিনিই সেই সুমহাণ বুজুর্গ্ যার উপর আল্লাহ এবং ফেরেশতাগণ দরুদ, সালাত, সালাম পৌঁছান এবং অনন্ত প্রেমের সংযোগ দান করেন– (সুরা আহযাব আয়াত ৫৬)।
গ্রন্থসূত্র: শানে পাক-পাঞ্জাতন, পৃ: ৪৩-৪৪।