স্বর্গ-নরক নিয়ে গুরু ও শিষ্যের আলাপন:
শিষ্যঃ স্বর্গ-নরক কোথায়?
গুরুঃ স্বর্গ-নরক এই ধরাধামেই বিদ্যমান। আমাদের ভিতরেই স্বর্গ ও নরক। পৃথিবীর মাঝে থেকেই স্বর্গ ও নরকের স্বাদ ভোগ করতে হবে।
৪৫.
শিষ্যঃ তাহলে জান্নাতের সেই সুখ-ভোগ ও নরকের সেই যন্ত্রনা কোথায়?
গুরুঃ হে বৎস! তুমি কি জান্নাতের সুখ দেখো নাই! নরকের অনল অনূভব করো নাই!
৪৬.
শিষ্যঃ প্রভু! এগুলো এখনও আমার জ্ঞানের বাইরে।
গুরুঃ শুনো। তুমি যে আনন্দে আছো, ভোগ-বিলাসে আছো। এটাই তোমার জন্য জান্নাত। স্ত্রীই হুর রূপে তোমাকে আনন্দ দিচ্ছে, আর তোমার সন্তান-সন্তানাদিই গেলামান রূমে তোমার স্ত্রীর ভালবাসার পাত্র হয়েছে। এই দুনিয়ার মাঝেই তুমি কত আনন্দে আছো, মনের আনন্দই প্রকৃত জান্নাত। তবে জান্নাতুল ফিরদাউস তথা ব্রহ্মানন্দ লাভ বা নির্বাণ লাভ এর স্তর আরো অনেক উর্দ্ধে। সেই জান্নাত পেতে হলে তোমাকে দুনিয়ার সকল জান্নাত ত্যাগ করতে হবে।
৪৭.
শিষ্যঃ প্রভু জান্নাতের যে স্তর আছে। তাহলে সেগুলো কি, কোথায় ও কিভাবে?
গুরুঃ জান্নাত কি তা ত বুঝাইলাম। জান্নাতের স্তর বুঝো না! এই যে কেউ মানব কূলে জন্ম নেওয়ার পরেও না খেয়ে মরতেছে আবার কেউ রাজ ভোগ খাচ্ছে। কেউ রাজার ঘরে, কেউ জমিদারের ঘরে, আবার কেউ ভিক্ষারীর ঘরে জন্ম গ্রহন করতেছে। এটাই হল স্তর। কিন্তু যে মানব কূলে আছে, সেই মূলত জান্নাতবাসী। কারন তার ইবাদত এর সুযোগ আছে, উন্নত জীবন লাভের সুযোগ আছে সাধনার মাধ্যমে।
৪৯.
শিষ্যঃ তাহলে নরক কি?
গুরুঃ মানব ও জ্বীন জাতির বাইরে যত কূল আছে আছে তারা সবাই নরকবাসী। কিন্তু মানবও নরকে বাস করতেছে। নরকের আগুন দুনিয়ার বাহ্যিক আগুনের চেয়েও তীব্রতর। মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে আগুন জ্বলে তা কাউকে দেখানো যায় না। যে আগুন এই বাহ্যিক আগুনের থেকেও হাজারগুন তেজ সম্পূন্ন।
লেখাঃ DM Rahat