গুরু ভক্তি-ভজনই অমূল্য ধন।

গুরু ভক্তি-ভজনই অমূল্য ধন।

গুরু আমার হয় জগত পতি
তারে স্বামী জেনে স্ত্রী রুপে
করো ভজনের রীতি।
গুরু সুখে দু:খের চিরসাথী
আপ দেবি পদে ঘোর নিদানে।।
রজ্জব বানী।

গুরু যিনি, তিনি এমনই এক অমুল্য সম্পদ যাকে দুনিয়ার সকল ধন সম্পত্তি কোন কিছু দিয়েও লাভ করা যায় না। তাকে পেতে হলে পবিত্র বিশ্বাস-ভক্তির সমষ্টিতে মনের মাঝে যে প্রেমের উদয় হয়, সে প্রেম দিয়েই একমাত্র তাকে লাভ করা যায়। নিজের স্বকীয়তা পরিপূর্ণ রুপে গুরুর প্রতি সমর্পিত করলেই তাকে পাওয়া যায়।

যে যতটুকু তাকে দিয়েছে, সে ততোটুকুই তাকে পেয়েছে। যে যেভাবে তাকে ভাবে, সে সেভাবেই তার নিকট ধরা দিচ্ছে, আমল নামাও সেভাবেই তৈরী হচ্ছে। জ্ঞান দিয়ে তাকে চেনা যায় জানা যায় কিন্তু পাওয়া যায় কেবল প্রেম দিয়ে।

প্রেমের রুপই হলো গুরু। কাজেই ভক্ত যখন আমিত্বের আবর্জনা মন হতে ঝেড়ে-মুছে পবিত্র হয়ে যায় তখনই দক্ষিনা মলয়া তান শুনতে পায়। সেই চিরব সন্তের কাননেই রয়েছে আমার গুরু বা মুর্শিদ। প্রেমই নিরাকারকে আকার করে তাঁর মোহনীয় জ্যোর্তিময় রুপ দর্শনে নিয়ে আসে।

এই ভেদ রহস্য একমাত্র প্রেমিক যারা শুধু তারাই জানে। প্রেমিকের কোন বন্দেগী নেই, অপ্রেমিক মুর্দাগণ এ ভেদ জানে না। প্রতি মুহুর্তেই তারা আল্লাহর সান্নিধ্যে অবস্থান করে, যদিও সে সবার মাঝেই বাস করে।

গ্রন্থসূএঃ আসসারে রজ্জব, পৃ: ৩৬৫।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel