আল্লাহর রুহ যে ঘরে সেই ঘরটি মূলত মক্কা আর মদিনা।
নিজের মন এবং দেহভূমিকে ইসলাম মক্কা-মদিনা বানাতে বিশেষ তাগিদ দিয়েছে। কারণ, মক্কা – মদিনাতে আল্লাহর রহমত আছে। আর মানুষ কবরে যাবে না, বরং দেহনামক কবরে আছে। মাটির গর্তনামক মেজাজি কবরে নফস যায় না, তবে লাশ যায়। লাশের বিচার হবে না, বিচার হবে নফসের। সুতরাং নফস মাটির গর্ত নামক মেজাজি করবে যায় না। নফস জীবন্ত দেহনামক কবরেই অবস্থান করে। অতএব জনাব আছেন তো কবরেই আবার যাইবেন কই?
এই দেহনামক জীবন্ত কবরেই মুহাম্মদি জাত রূহকে জাগ্রত করতে হয়। তার সন্তানে পরিণত হতে হয়। ভৌগোলিক জমিন তথা মাটি তথা দেশ তাওহীদে তথা আল্লাহর দ্বীনে অবস্থান করে। সৃষ্টিতে নাপাকি নেই, নাপাকি থাকে মানুষের অন্তরে। সুতরাং মন তথা অম্তর নাপাকি তথা শেরেকি মুক্ত হলেই আপন দেহভূমিই হবে আল্লাহর রহমতের পূণ্যভূমি। সুতরাং মুহাম্মদি জাত নূর যে দেহঘরে থাকে সেটাই আসল মক্কা – মদিনা নামক পূণ্যভূমি।
সুতরাং ইসলাম বাকির দর্শন নয় বরং ইসলাম নগদ দর্শন। সুতরাং বাকির বয়ান জনতাকে না শুনিয়ে কিছু নগদ দর্শনের কথা প্রচার করুন। কারণ, আমরা জানি বাকির নাম ফাঁকি। আর মহানবি মুহাম্মদ সাঃ আমাদের বাকি দর্শন দিয়ে যান নাই।
নিবেদক: আর এফ রাসেল আহমেদ