আহাদ কি? আহাদের গুপ্তরহস্য আলোচনা।

আহাদ কি?

আহাদ শব্দটি অতি মারাত্মক এবং গুপ্তরহস্যপূর্ণ কথা। আহাদের সার্বিক অর্থ হলো ‘তিনিই সব কিছু’ অথবা ‘যা কিছু আছে সবটুকুই তিনি’ অথবা তিনিই অখণ্ড অথবা স্বয়ম্ভু (অ্যাবসোলিউট) অথবা একটি অণুও বলতে পারবে না যে, সে আল্লাহ হতে আলাদা সত্তা নিয়ে বিরাজিত। যদি বলতে পারে বলা হয়, তবে এই অণু যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, অসীম আল্লাহর সঙ্গে শেরেক করছে তথা অংশীত্বের দাবি নির্ভয়ে ঘোষণা করছে। সুতরাং এই অণু-পরমাণুও অখণ্ড সত্তা হতে আলাদা নয়। মহা এককের মধ্যেই নিমজ্জমান। – তাই তিনি আহাদ।

তাই তিনি বলেছেন যে, দুই পূর্ব এবং দুই পশ্চিমের যে দিকে তাকও না কেন , কিছুই দেখতে পাবে না কেবলমাত্র তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত। এই দুই পূর্ব এবং দুই পশ্চিম বলে ঘোষণার অর্থ হলো, কোথাও তিনি ছাড়া কিছুই নেই। তা হলে আমাদেরকে ‘লা’ শব্দটি উচ্চারণ করতে কেন বললেন? ‘লা’ দিয়ে কেবলমাত্র আপনার মধ্যে যে অংশীত্বের ভুল ধারণার ছায়া পড়ে আছে তা দূর করে দেওয়া।

আয়নার ভিতরে আপনার মুখের ছবিটার মতই ‘লা’-এর ভ্রান্ত ধারণা লুকিয়ে আছে। উহা দূর করতে বলা হয়েছে। কেবলমাত্র মুখের বলা ‘লা’ শব্দটির কোনো মূল্যই থাকত না যদি সত্যিই কোনো অংশীদার থাকত। কারণ, যদি কোনো অংশীদার সত্যি সত্যিই থাকত, সে যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন তার আকৃতি, সব চাইতে ক্ষুদ্র পজিট্রনও যদি থাকত তবে কখনোই তার অংশীত্বের দাবী ছেড়ে দিত না এবং দিতে পারে না।

আসলে ‘লা’-এর ভ্রান্ত ধারণার অপর নাম আমিত্ব তথা হাস্তি বা খুদি। এই আমিত্বের জন্ম কর্ম করার মধ্য হতে আসে না। কারণ কর্ম কোনোদিন আমিত্বের বন্ধন হতে পারে না। কামনাটাই কর্মের বন্ধন।

তাই কামনা আসলেই কর্ম কলুষিত হয়। কামনা আবার আপনা হতে আসে না এবং আসতেও পারে না। ছয়টি রিপুর মাধ্যম হতে কামনা আসে। এই কামনাই পরদা। ইহা অতি সুক্ষ্ম পরদা। পুলসেরাতের পুলের মতো চিকন এর রূপ এবং তীক্ষ্ণ তরবারির চেয়ে অনেক ধারালো এই কামনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ইহাই আমিত্ব।

আলোচনাঃ কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা ঈমান আল সুরেশ্বরী।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel