“তেরে এক নজর কা কিমাত মেরে জিন্দেগী বর নেহি।”
অর্থাৎ- “ইয়া রাসুলুল্লাহ তোমার এক নজরের প্রতিদান জিন্দেগী দিয়েও পরিশোধ করা সম্ভবপর নয়। ইবাদত বন্দেগী দিয়ে তোমাকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।”
তুমি স্বয়ং মোহাব্বত, তুমি প্রতিটি আশেকের দিলেই অবস্থান কর অনুরাগ হয়ে। তোমার কুরসি আশেকের সিনার মধ্যে। তোমার কুরসি জাগতিক কোনো সিংহাসন নয়, তোমার সিংহাসন ত্যাগের, ধৈর্যের, মোহাব্বতের। আর ক্ষমতার সিংহাসনে বসার জন্য জগতের মোড়লরা রাজনৈতিক মঞ্চে ছক্কাপাঞ্জার দাবায় উন্মাদ হয়ে আছে। সবাই প্রতিযোগিতার মধ্যে মেতে আছে, আর তুমি প্রতিযোগিতার মধ্যেই নেই। তুমি বল বাদশা তো সে, যে মূহুর্তের মধ্যে দুনিয়ার সিংহাসনের মোহ ত্যাগ করতে পারে। জগতে অনেক রাজা বাদশার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিলে।
যারা দুনিয়ার মোড়লগীরি পরিত্যাগ করে ফকির হয়ে গেছে। তুমি তো ফকির নয়, বরং বাদশাদের ফকিহ। যে বাদশা থেকে ফকির হয়েছে , সেটাও তোমার দয়া ব্যতীত সম্ভব হয় নাই। তোমার একটা মোহাব্বতের নজরের বরকতে তুমি তাদের দিলের হাল পরিবর্তন করে দিলে। রাজা বাদশাদের জীবন দর্শন পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই, তুমিই দয়া করে তাদেরকে কবুল করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলে। তুমি সুবাহান, তোমার কুরসি ভাসমান। তুমি দিলের রাজা, দুনিয়ার বাদশা তোমার মোহাব্বতের কাঙ্গাল। তোমার দয়া ব্যতীত কেহ অর্থপূর্ণ হতে পারে না। সকল অর্থের মূলেই তুমি মোহাব্বত। জয়গুরু
