কারবালা নিয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরীর ১১টি বাণী।
(১)
দয়াল নবী (সাঃ) বলিয়াছেন- ‘‘আমার আহলে বায়েত হইল- আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসেন।”
(২)
“দয়াল নবী (সাঃ) এবং আহলে বায়েতের মহব্বত অর্জনের জন্য ১০ ই মুহাররম বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিন।”
(৩)
“মুহাররমের ১০ তারিখ- আশুরা দিবস। এই দিন উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য অত্যন্ত বিষাদময় দিন।”
(৪)
“১০-ই মুহাররম আমাদের জন্য শোকাচ্ছন্ন দুঃখবিজড়িত ঘটনাবহুল এক দিবস। এই দিবসে ইমাম ছাহেবের মহব্বতের ফয়েয ওয়ারেদ হয়। বিশ্ব ব্যাপী মোসলমানেরা এই আশুরা দিবসে যেমন মাতম ও হাহাকার করে, তেমন হাহাকার ক্রন্দন আর অন্য কোন দিবসে করে না।”
(৫)
“বিশ্ব ব্যাপী মোসলমানেরা এই আশুরা দিবসে যেমন মাতম ও হাহাকার করে, তেমন হাহাকার ক্রন্দন আর অন্য কোন দিবসে করে না।”
(৬)
“কারবালার মরু প্রান্তরে সত্যের আদর্শ সমুন্নত রাখার জন্যে, রাসূল (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও প্রচারিত সাত্ত্বিক আদর্শের পতাকাকে উড্ডীন রাখার জন্য দয়াল নবী (সাঃ) এর দৌহিত্র, হযরত আলী (কঃ) এর নন্দন হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেব আত্মীয়-পরিজন ও অনুচরসহ অকাতরে শাহাদাত বরণ করেন। সত্যের আদর্শ রক্ষায় সর্বস্ব ত্যাগের এমন ঘটনা নজিরবিহীন।”
(৭)
“এজিদ সৈন্যরা নিহত ইমাম ছাহেবের পবিত্র দেহ মোবারকের উপর দিয়া অশ্ব চালনা করিয়া দেহের হাড্ডি-মজ্জা-মাংশপেশীকে মরুভূমির বালুর সাথে মিশাইয়া দেয়। এমন পৈশাচিক হত্যাকান্ড আর কোথাও ঘটিয়াছে বলিয়া জানা যায় না।”
(৮)
“আহলে বায়েতের প্রতীক হইল নূহের তরী। আর এই তরীতে আরোহণের উপায়ই হইল আহলে বায়েতের মহব্বত অর্জন; যে মহব্বত বিতরণের জন্য আকাশের ফেরেশতাসকল বিশেষভাবে প্রতি বছর মুহাররমের দশ তারিখে জমিনে নামিয়া আসেন এবং আশেকে রাসূলের দেলে মহব্বত ঢালিয়া দেন।”
(৯)
“ইমাম ছাহেবের মহব্বত হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বত। কাজেই ইমাম ছাহেবের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বতে সে কাঁদিবে। আর রাসূলে পাক (সাঃ) এর মহব্বতে যাহারা ক্রন্দন করিবে, তাহাদের দেল পরিচ্ছন্ন হইবে, তাহাদের জন্য দোযখের আগুন হারাম হইবে।”
(১০)
“হযরত নবী করীম (সাঃ) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেব, তদীয় পরিবারের সদস্য ও অনুগত সহচরগণ কারবালা প্রান্তরে বুকের রক্ত ঢালিয়া আল্লাহতায়ালার সত্য ধর্ম ইসলাম ও তাহার আদর্শ রক্ষার জন্য যে ত্যাগের নিদর্শন রাখিয়া গিয়াছেন, ইতিহাসে তাহার তুলনা নাই।” (নসিহত-৯ম খন্ড, মুহাররাম)
(১১)
“তোমরা প্রতি বছর যেমন পবিত্র আশুরা মোবারক উদযাপন কর, ইমাম ছাহেবদের মহব্বতে অঝরে কান্দ, আমার অবর্তমানেও তোমরা এমনিভাবে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমবেত হইয়া পবিত্র আশুরা মোবারক উদযাপন করিবে; ইমাম ছাহেবদ্বয়ের মহব্বত অর্জনপূর্বক সেই মহব্বতের স্রোতে দেলের ময়লা পরিস্কার করিবে।”
সূত্রঃ শাহসূফী বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর লিখিত “নসিহত” সকল খন্ড একত্রে, (পৃষ্টাঃ-১১৬৭-১১৬৮)।