শয়তান বাইরে না, মানুষের মধ্যেই থাকে।
নিরপেক্ষ মন নিয়ে পড়বেন। দলের সাইনবোর্ড কাধে নিয়ে পড়লে কিছুই বুঝতে পারবেন না।
শয়তান বাহিরে থাকে না, থাকার অনুমতিও নাই, কারন বাহিরের এই জগৎ সমুহ আল্লাহ তসবিহ পাঠ করে, আল্লাহর জিকিরে বা সেজদায় রত আছে।
তাহলে শয়তান কই থাকে?
শয়তান মানুষের অন্তরে থাকে। “মিন শার্রিল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস” শয়তান মানুষের অন্তরে ওয়াস ওয়াসা দেয়। কোরআনে পাওয়া যায় শয়তান চার নামে থাকে বা চার ভাবে থাকে।
চার প্রকারের শয়তানের নাম হলো- (১) শয়তান (২) খান্নাস (৩) মরদুদ (৪) ইবলিশ।
এই শয়তান ছয় রুপে মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে রাখে, এবং তার দাসত্ব করায়।
ইবলিশের ছয়টি রুপ হলো- (১) লোভ, (২) মোহ-মায়া, (৩) কাম, (৪) হিংসা, (৫) অহংকার, (৬) রাগ।
এই ছয়টিকে রিপু বলা হয়, এই ছয় রুপকে আবার অদৃশ্য মূর্তিও বলা হয়। আল্লাহ মানুষকে পরিক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, আর অদৃশ্য ভাবে এই ছয় মুর্তিকে এই দেহে দিয়েছেন। ওনিও এই দেহে আছেন। আল্লাহ চায় আমার বন্দা আমার ইবাদত করে নাকি এই ছয় মূর্তির পূজা করে ইহা দেখার জন্য।
আমরা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে এই ছয় রিপুর পূজায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো দাসত্ব করা শিরক। মোসলমান দাবী করে শয়তানের পূজা করে যাচ্ছি আর দোষ দিচ্ছি হিন্দুদেরকে, যে তারা মূর্তি পূজা করে শিরক করছে।
এই ছয় রিপুকে বশে আনা এত সহজ বিষয় নয়, এই ছয় রিপুকে মুসলমান বানাতে হবে, তার পর তুমি মুসলমান হবে। আর এই ছয় রিপুকে বশে আনতে হলে কিতাব পরে আনা যাবে না, দোয়া পাঠ করলেও বশে আসবে না, শুধু মাত্র প্রেমই পারে এই ছয় রিপুকে বসে আনতে।
আর প্রেম করতে হবে সৎ লোক বা যোগের রাসূলের সাথে, কারন সৎ লোকের প্রেমে পড়লে তার ইচ্ছাকে তোমার ইচ্ছায় পরিনত করতে পারবে। সে জন্য কামেল গুরু বা মুর্শিদ এর রুহানি তাওয়াজ্জু ছাড়া রিপুকে বশে আনতে পারবেন না। তাই বলা হয় “যার পীর নাই, তার পীর শয়তান।”
লিখেছে— ফকির কবি মোঃ শাহীন চৌধুরী।