ধ্যান সাধনা ছাড়া মুখের কথায় শয়তান বিতাড়িত হয় না!
‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তোয়ানুর রাজিম’। তথা ‘পাথরের আঘাত খাওয়া শয়তান হতে আশ্রয় চাইছি।’ কথাটি মুখে হাজারবার ঘোষণা করলেও শয়তান আপনাকে মোটেই ছেড়ে দিবে না। কীভাবে পড়লে, কীভাবে অনুশীলন করলে শয়তান হতে আশ্রয় পাওয়া যায় সেই কথাগুলো, সেই উপদেশগুলো কামেল পীর হতে জেনে নিতে হয়।
তাফসিরে হুসাইনি আর মেশকাত শরিফ পাঠ করা শর্তযুক্ত পীরদের কাছে জানবার কথাটি বলা হচ্ছে না, কারণ এই জাতীয় পীর দিয়ে দেশ ছেয়ে গেছে।
যখন কোনো সাধক ধ্যান – সাধনার অদৃশ্য তরবারি হাতে নিয়ে জেহাদে আকবরে বছরের পর বছর আল্লাহকে পাবার জন্যে জেহাদ করে যায় তখন সেই জেহাদির চেহারা-সুরত, চলন-বলন, সমাজের কাছে বেখাপ্পা মনে হয় এবং নানা রকম ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও তামাশা করে থাকে।
এই বিষয়টিতে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরিব নেওয়াজের কেবলায়ে কাবা হজরত খাজা ওসমান হারুনি ফারসি ভাষায় বলে গেছেন- ‘মানাম ওসমান হারুনি ইয়ারে শায়েখ মানসুরাম, মালামাত মিকুনাদ খালকেউ বারদারে মিরাকসাম।’ অর্থাৎ: ‘আমি উসমান হারুনি মনসুর হাল্লাজের বন্ধু। মনসুর হাল্লাজ যন্ত্রণার শূলীতে, আর আমি মানুষের ঠাট্টা-তামাশা আর বিদ্রূপের অদৃশ্য শূলীতে দাঁড়িয়ে তোমার প্রেমে নাচছি।’
আল্লাহ্ প্রেমিকের জন্য। আল্লাহর জেহাদে আকবরের অনুসারীদের জন্য একদিকে রয়েছে অবিরাম ধ্যান-সাধনার কঠোর পরিশ্রমে ধৈর্যধারণ করা, আবার অন্যদিকে মানুষের ঠাট্টা-তামাশা – বিদ্রূপের উপর দাঁড়িয়ে বিশাল ধৈর্যধারণ করে প্রেমের নৃত্য করা।
– সূফীবাদের রহস্য