চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে: তত্ত্ব কথা

চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে: তত্ত্ব কথা

চাঁদের গায়ে চাঁদের লেগেছে (বাবার যোনী মায়ের মায়ের রেহেম বা জরায়ুর সাথে অথবা বারার বীর্য মায়ের রজঃ এর সাথে মিলিত হওয়া)

আমরা ভেবে করব কি? (আমাদের ভাবার কিছুই নাই, এগুলো আমাদের বুঝার বাইরে)

ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম (মায়ের চার অংশ [গোস্ত, পোস্ত, খুন, পশম] সন্তানের শরীরে যায়, তাই অই সন্তান কে মায়েরই অংশ বা মা বলা হয় [মেয়ে হইলে], আবার হতে পারে সন্তান জন্মের আগে ত কেউ মা হয় না, তাই সন্তার জন্ম নিয়েই তাকে মা বানায়), তবে আরেক টা বিষয়ও হতে পারে, মা ফাতেমা জগতের মা, তার মায়েরও মা। এটাও বুঝানো হতে পারে।

তারে তোমরা বলবে কি? (কিছুই বলব না)

ছয় মাসের এক কন্যা ছিল (কারো কারো মতে ছয় রিপু [কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য্য] কে বুঝানো হয়েছে। তবে দেহের মাঝে ছয় টা চক্র রয়েছে, যাকে ষটচক্র বলে, সেটাকে বুঝানো হয়েছে [ষটচক্রঃ মূলাধার চক্র, স্বাধিষ্ঠান চক্র, মনিপুর চক্র, অনাহত চক্র, বিশুদ্ধ চক্র, আজ্ঞা চক্র] আমার মতে এই চক্রের কথাই এখানে বলা হয়েছে)

নয় মাসে তাঁর গর্ভ হল (প্রতিটি প্রাণীকে পৃথিবীতে জন্ম নিতে ৯ টি স্টেশন ভ্রমণ করে আসতে হয়, ইহাকে ‘৯ বাতন’ বলা হয় [৯ বাতনঃ গঞ্জে মুখ্ফি, জামাদাত, নাবাদাত, হায়ানাত, নুতফা, আলক্বা, দায়রা, জনীন, তেফেলি] আবার অনেকে নয় ইন্দ্রিয়কে বুঝিয়েছেন, আবার কেউ নয় মাসে গর্ভ পাতের কথা বলেছেন, তবে আমি নয় বাতন কেই বুঝি এইখানে)

আবার ১১মাসে তিনটি সন্তান (ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর ভক্ত+গুরু=২+ আগের ৯ বাতন = ১১,,, আর সন্তান তিনটি হল, জ্ঞান, বুদ্ধি আর বিকেব, যা গুরু ভক্তের সম্পর্কের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়, তবে আহাদ আহাম্মদ মুহাম্মদ বা হা হে হু রং বা বো গোল দড়িয়া মৌজ হবাব ও হতে পারে, তবে আমার মনে হয় এখানে ঈরা পিঙ্গলা আর শুষ্মার কথা বলা হয়েছে।)

কোন টা করবে ফকিরি? (এগুলো মাঝে কোন টা কে বেশি গুরুত্ব দিবেন, সেটা আপনিই ভাল জানেন, মূতল সব গুলোকেই ফকিরি করতে হবে)

ঘর আছে তার দোয়ার নাই (মায়ের পেট কে ঘর বলা হয়েছে, এই ঘরের দরজা নাই)

লোক আছে তার বাক্য নাই (শিশু সন্তান আছে, কিন্তু সেখানে কথা বলতে পারে না)

আবার কে তাহারে আহার জুগায়? (সন্তান গর্ভে আসার তিন মাস পর মায়ের হায়েস তথা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, সেটা একটা শিশুর নাভীর সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় একটা রগের মাধ্যমে, শিশু সেটার ধারায় বড় হয়)

আবার কে দেয় সন্ধ্যা বাতি? (এখানে কেউ বাতি জ্বালায় না এইটাই মুলত অন্ধকার কবর)

ফকির লালন ভেবে বলে,
ছেলে মরে মাকে ছুলে (এখানে কিছু বলার ইচ্ছা নাই আমার। তবে আরেক টা গানে শুনেছিলাম, “যা ছুইলে প্রাণে মরি, এই জগতে তাতেই তরী”,,, এখানে সেটাই বুঝিয়েছেন বলে আমি মনে করি)

আবার এই কয় কথার অর্থ নইলে,
তার হবে না ফকিরি (গানে উল্লেখিত কথা গুলোর অর্থ না বুঝলে তার ফকিরি সিদ্ধি হবে না,)

বিঃদ্রঃ আমিও কথা গুলোর অর্থ বুঝি না, যা বুঝেছি, তা থেকে যতটুকু সম্ভব প্রকাশ করেছি। উপরের ব্যাখ্যা গুলো একান্তই আমার নিজের মতামত, তাই ভুলের সম্ভাবনা আছে। আশা করি কেউ তর্ক করবেন না। তবে ভুল থাকলে তা শুধরিয়ে দিতে পারেন। আর হ্যা, ব্যাখ্যা যেমনই হোক, যে সংখ্যা আর নাম গুলোর কথা উল্লেখ করেছি, সেগুলো সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ।

সৃষ্টিতত্ত্ব দ্বাপরলীলা আমি শুনতে পাই।
চাঁদ হতে হয় চাঁদের সৃষ্টি চাঁদেতে হয় চাঁদময়।

জল থেকে হয় মাটির সৃষ্টি জাল দিলে জল হয় গো মাটি। বুঝে দেখ এই কথাটি ঝিয়ের পেটে মা জন্মায়।
এক মেয়ের নাম কলাবতী, নয় মাসে হয় গর্ভবতী। এগার মাসে সন্তান তিনটি মেজটা তার ফকির হয়।
ডিমের ভিতর থাকলে ছানা, ডাকলে পরে কথা কয়না, সেথায় সাঁইয়ের আনাগোনা দিবারাত্রী আহার যোগায়।
মাকে ছুলে পুত্রের মরণ, জীবগনে তাই করে ধারণ। ভেবে কয় ফকির লালন হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গবার নয়।

লেখাঃ DM Rahat
YouTube: Sufism BD