যা আছে ভ্রহ্মান্ডে, তা আছে দেহভান্ডে (মানব দেহ)।
যা আছে ভ্রহ্মান্ডে, তা আছে দেহভান্ডে (মানব দেহ)। রয়েছে নদী নালা, পাহার পর্বত, গ্রহ নক্ষত্র, আরো কত কি। যা আত্মজ্ঞানীরা জ্ঞান চক্ষে তা দেখতে পায়। স্রষ্টা মানুষকে আপন ছুরতে সসৃষ্টি করেছেন। স্রষ্টার রহস্য মানুষের মাঝে স্থাপন করেছেন। মানুষের ভেদ বা রহস্য জানতে পারলেই স্রষ্টার রহস্য জানা যাবে। ভ্রহ্মান্ডের ন্যায় দেহভান্ডেও সাত আসমান ও সাত জমিন রয়েছে। (সাত+সাত) চৌদ্দ তলা এই মানব দেহ। যখন মানুষের চেতনার অবস্থান প্রথম আসমান থেকে উৎতীর্ন হতে হতে সপ্তম আসমানে পৌঁছায়, তখনই সে স্রষ্টার স্বরুপ দর্শন করে স্রষ্টাময় হয়ে যায়।
মানুষের চেতনা প্রতিনিয়ত এক আসমান থেকে অন্য আসমানে উঠানামা করছে, যারা শুধুই উপরে উঠছে, তারাই সপ্তম আকাশে স্থীর হতে পারছে। তবে মানুষের চেতনা সব চেয়ে বেশি অবস্থান করে চৌঠা আকাশে। যেটা হল কাম। কামের অবস্থাই হল চতুর্থ আসমান, যেখানে আদম (আ) থেকে শুরু করে সবাইকে সৃষ্টি করা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। এর চেয়ে বেশি ফেইসবুকে বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে নাম গুলো উল্লেখ করে দিচ্ছি।
দেহভান্ডের সাত আসমানের নামঃ
দম, কদম, অহম, ফহম, আক্কেল, এলেম, হেলেম।
দেহভান্ডের সাত জমিনের নামঃ
পশম, পোস্ত(চামড়া), খুন, গোশত, হাড়, রগ, গুর্দা।
বিঃদ্রঃ কোন আসমানের অবস্থান দেহের কোন জায়গায় এবং কোন আসমানে কার বসবাস ও আসমানগুলোর বাংলা অর্থ কি? এই রহস্য আপন মুর্শিদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। অন্যথায় ধোঁকলাবাজির ধোঁকায় পড়তে পারেন। তবে একটু সহজ করে দিচ্ছি- আসমানের অবস্থান ছেরে (মাথায়)।
লেখাঃ DM Rahat
YouTube: Sufism BD