হোমপেজ ইলমে মারেফত দমের খবর (পর্ব-০১)

দমের খবর (পর্ব-০১)

607

দমের খবর (পর্ব-০১)

আমাদের দেহের মাঝে যত কার্য হচ্ছে তার মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসই প্রধান কার্য। আধ্যাত্মিক সাধনায় এর গুরুত্ব বলে শেষ করা সম্ভব নয়। দেহের সব খবর এই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই একজন সাধক জানতে পারে। তাই লালন সাঁইজি বলেছেন “ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে”। শ্বাস-প্রশ্বাসের খবর জানতে পারলেই দেহের মধ্যে সংঘটিত সকল কার্যের অগ্রীম সংবাদ পাওয়া যায়, এমন কি মৃত্যুর সংবাদ পর্যন্ত বলে দেওয়া যায় মৃত্যুর অনেক পূর্বেই। এসব শুধু সেইসব সাধকদের জন্য, যাদের সাথে প্রভুর বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই ছেলে সন্তান বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায়, তবে যারা তাবিজ বা মন্ত্রের মাধ্যমে ছেলে সন্তান লাভের কথা বলে, তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন, কারন তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ। সেসব ভন্ড ফকিরদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। কারন সন্তান জন্মের বিষয়টা ছেলেদের বীর্যের সাথে সম্পর্কিত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষকে বশেও আনা যায় ইত্যাদি আরো কত কি গুনাগুন ও কার্য আছে এই শ্বাস-প্রশ্বাস সম্পর্কিত তা বলে শেষ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তত্ত্ব তুলে ধরা হল।

দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস আসা-যাওয়া করে। মানুষ যখন চুপচাপ বসে থাকে, অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে, তখন শ্বাস বায়ু ১২ আঙুলী পরিমিত দূরে আসে, আর ভিতরে যায় ১০ আঙুল। খাওয়া দাওয়া ও কথা বলার সময় ১৮ আঙুল, হাটাহাটি করার সময় ২৪, দৌড়া দৌড়ী করলে ৩৪, মৈথুনকালে ৬৫ এবং নিদ্রাকালে ১০০ আঙুলী দূরে আসে। কিন্তু ভিতরে যায় মাত্র ১০ আঙুল।

যত পরিশ্রম কাজ করা হবে শ্বাসবায়ু তত বেশি পরিমানে ঘাটতি হয়। দুই আঙুল ঘাটতিতেই প্রতিদিন ৪৩২০০ আঙুল পরিমিত শ্বাসবায়ু ঘাটতি হয়। আগামী এই বিষয়ে মানুষের চাহিদা ও আগ্রহ অনুযায়ী পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। তবে বিস্তারিত গুরুর কাছ থেকেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন । তিনি চাইলে মুহুর্তেই আপনাকে সকল জ্ঞান দান করতে পারেন।

চলবে…….

লেখাঃ DM Rahat
YouTube: Sufism BD