১০ ই মহররম বিশ্ব মানবজাতির জন্য শোকের দিন।
বিশ্ব মানবজাতির জন্য শোকের দিন হলো ১০ ই মহররম। এই শোক মুছতে অনেক ইয়াজিদ পন্থীরা সমাজে ভিন্ন ফিরিস্তি দিতেছে।
আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ানের শাসন কালে উমাইয়াদের সেনাপতি ও প্রাদেশিক শাসনকর্তা পাষন্ড হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাকাফী মহররমের শোকস্মৃতি মুছে ফেলার জন্য প্রথম ১০ দিন কে ঈদের দিন হিসেবে বলে প্রাচার করে, ইমাম হুসাইন (আলাইহিসসালাম) এর গুরুত্ব ও শোক মুছতে অনেক ইয়াজিদের দূসরা বলে, মহররমের ১০ তারিখ, আদম হাওয়ার তওবা কবুল হয়েছিল, নূহনবী বন্যা হতে রক্ষা পান, মুসা নবী ফেরাউন হতে, ইউনুস নবী মাছের পেট থেকে, আইয়ুব নবী কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি পান।
ইব্রাহিম নবী আগুনের কুন্ড হতে রক্ষা পান এই সব ফিরিস্তি টানতে থাকে। এর মানে ঐ সমস্ত নির্বোধগণ বুঝাতে চায় এ তারিখে নবী রাছুল গন রহমত লাভ করেন। কি আশ্চর্য কান্ড এই সব কান্ডের মতবেদ নেই সবই ১০ ই মহররমে, অথচ পাঁচ হাজার বৎসর পূর্বে পঞ্জিকাবর্ষ উৎপত্তি হয়েছে, তাহলে তারা পূর্বের তারিখ গুলো কি ভাবে নির্ণয় করা হয়েছে। আর আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ মাত্র দেড় হাজার বৎসর পূর্বে আগমন করেছেন তার জন্ম ও ওফাত দিবস নিয়ে মতভেদ অন্ত নেই। যা উমাইয়া আব্বাসীয়দের কারসাজি। যা যুগে যুগে ইয়াজদপন্থি মৌলভীগণ প্রচার করে চলছে। একমাত্র ইমাম হুসাইন (আলাইহিসসালাম) এর গুরুত্ব ও শোক মুছতে।
সূত্র: বেহুঁশের চৈতন্য দান
লেখক: কাজী বেনজীর হক চিশ্তী নিজামী