মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১০
মাওলা আলীর অসাধারণ শান-মান (ধারাবাহিক পর্ব নং-১০)।
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেনঃ أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.
“আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে,আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।”
(আল মানাকিব– ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩,আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)
এখানে বৃক্ষ শব্দটি মূলত রুপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে। দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এবং মাওলা আলী সৃষ্টির পূর্বে একটি নুরের খন্ড ছিলো, সেই নুরের খন্ড বিভক্ত হয়ে একটি দয়াল রাসূল (সাঃ) এবং অপরটি মাওলা আলী রুপ ধারণ করে। আর সৃষ্টি জগতের সমস্ত মাখলুকাত অর্থাৎ ফেরেশতা,নবী-রাসূল, জ্বীন-পুরি, চাঁদ-সূর্য, গ্রহ-তাঁরা, আসমান-জমিন, তরুলতা অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টি তাঁদের নুর থেকে সৃষ্টি হয়। তাই সমস্ত সৃষ্টি জগতের মনিব হলো দয়াল রাসূল (সাঃ) এবং মাওলা আলী। আর সমস্ত সৃষ্টি জগতের আমরা সবাই তাঁদের গোলাম। হোক সে ফেরেশতা, জ্বীন, নবী-রাসূল, সাহাবী কিংবা অলী আল্লাহ। মাওলা আলীকে মনিবরুপে না মানা পর্যন্ত কেউ নবী-রাসূল, সাহাবী কিংবা অলী আল্লাহ হতে পারেনি এবং কেয়ামত পর্যন্ত কেউ হতে পারবে না।
বাবা আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সমস্ত নবী-রাসূল, মহামানব, সাহাবী এবং অলী আল্লাহগণ মাওলা আলীকে মনিবরুপে গ্রহন করেই নবী-রাসুল, সাহাবী এবং অলী আল্লাহ হয়েছেন। মাওলা আলীর কদম বীনে এদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতো না। যারাই মাওলা আলীর কদম আঁকড়ে ধরেছে, তাঁরাই মহামানবে পরিণত হয়েছে। আর যারা মাওলা আলীর কদম আঁকড়ে ধরেনি, তারা কখনো মহামানব তো দুরের কথা বরং মুসলমানই হতে পারেনি। মাওলা আলীর কদম বীনে কেয়ামত পর্যন্ত সাধনা করলেও মুমিন মুসলমান হওয়া সম্ভব নয় বরং পথভ্রষ্ট মুসলিম হতে হবে।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।