হোসাইনের ভালোবাসা হলো ঈমান, আর ঈমান ছাড়া আমল মূল্যহীন।
‘বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থেও বর্ণিত আছে, “মহানবী (সা.) একদিন নামাজে সেজদায় গেলেন, ইমাম হোসাইন (আ.) এসে তাঁর পিঠে সাওয়ার হয়ে বসলেন, সেজদা থেকে মাথা উঠালে তিনি পড়ে যাবেন এ ভেবে মহানবী (সা.) সেজদা থেকে মাথা উঠালেন না। হোসাইন (আ.) যখন স্বেচ্ছায় মহানবীর (সা.) পিঠ থেকে নামলেন তখন মহানবী (সা.) মাথা উঠালেন”। হায়, ইমাম হোসাইনের প্রতি মহানবীর (সা.) কি অপরিসীম ভালবাসা ছিল।’
সূত্র- নিয়ামতে খোদা আহলে বাইতে মোস্তফা
ফরজ নামাজের চেয়ে হোসাইনের ভালোবাসা আল্লাহ ও রাসূলের কাছে প্রানধিক প্রিয়। এই হাদিস দ্বারা এটাই প্রমাণ হয়, ফরজ নামাজ রোজার চেয়েও হোসাইনের ভালেবাসা আল্লাহর নিকট প্রাণধিক প্রিয় ও সর্বোত্তম ফরজ। এটা আমার কথা নয়, কোরআনেরই কথা। (বিস্তারিত- সূরা শুরা ২৩)
অথচ আপনি আমি সেই হোসাইনের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিক নামাজ রোজায় মশগুল! হায়! আফসোস!
নামাজ, রোজা হলো আমল। আর হোসাইনের (আ.) ভালোবাসা হলো ঈমান। ঈমান ছাড়া আমল মূল্যহীন।
মহানবী মওলা মুহাম্মদ (সা.) বলতেন— “হোসাইন আমা হতে, আমি হোসাইন হতে”।
সৈয়দ কুতুবউদ্দিন আহমেদ আল হোসাইনী চিশতী সাহেব বলতেন— “হোসাইনের পদতল থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত ঈমানের আলো। হোসাইন আর ইসলামের মধ্যে পার্থক্য নেই কোনও। হোসাইনই ইসলাম। ইসলামই হোসাইন।”
এছাড়াও হাদিসে এসেছে— “হোসাইনের প্রতি ভালোবাসাই, মহানবীর ভালোবাসা। মহানবীর ভালোবাসা, আল্লাহর ভালোবাসা”।
শুধু কি তাই! উপমহাদেশে যার মাধ্যমে আমরা ইসলাম পেয়েছি, সেই মহান হিন্দে ওলী আতায়ে রাসূল খাজা বাবা মঈনুদ্দিন চিশতী ‘দিওয়ান-ই মইন উদ্দিন’ এ লিখেছেন— “আধাত্মিক জগতের সম্রাট হলেন হোসাইন (আ.), বাদশা হলেন হোসাইন (আ.), ধর্ম হলেন হোসাইন (আ.), ধর্মের আশ্রয় দাতা হলেন হোসাইন (আ.)।”
অতএব, আসুন ইমাম হোসাইনের ভালোবাসায় ঈমানকে মজবুত করি।
আমি নামাজ রোজার বিরোধিতা করছি না, শুধু এইটুকু বলতে চাচ্ছি– হোসাইন ভালোবাসা হলো ঈমান। যদি ঈমান ঠিক থাকে তাহলে আমলের দূর্বলতা থাকলেও কোনো ভয় নেই । আর যদি ঈমান-ই না থাকে তাহলে কিসের বন্দেগি?
_ আসিব মিয়া