ছৈয়্যদেনা ইমাম রেযা (আঃ) এর বাণী সমূহ।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
ইমাম রেজা (আঃ) মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পুতঃপবিত্র আহলে বাইতের অষ্টমতম ইমাম। ওনার পবিত্র মাজার শরীফ ইরানের খোরাসান প্রদেশের মাসহাদ শহরে অবস্থিত। তিনি জন্মগ্রহন করেছে পবিত্র মদিনায়। তিনি ৭ম ইমাম মুসা কাজীমের (আ.) সন্তান। ৩০ শে সফর মহান এই ইমামের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়।
বাণী সমূহঃ
“হিংসা ও লোভ থেকে বিরত থাকবে, এ দু’টি বিষয় অতীত জাতিসমূহের ধ্বংস ডেকে এনেছে। কৃপণতা কর না; কেননা কোন ঈমানদার ব্যক্তি কৃপণ হতে পারে না।”
[সূত্রঃ বিহারুল আনওয়ার, ৭৮তম খন্ড, পৃ. ৩৪৬।]
“যদি বেহেশত ও দোজখের অস্তিত্ব নাও থাকত, তবুও আল্লাহর অভূরন্ত নেয়ামতের কারণে তার প্রতি অনুগত ও বাধ্য থাকা মানুষের দায়িত্ব।”
[সূত্রঃ বিহারুল আনওয়ার, ৭১তম খন্ড, পৃ. ১৭৪।]
“যে ব্যক্তি কোন মু’মিনের কষ্ট লাঘব করবে; আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার কষ্ট লাঘব করবেন।”
[সূত্রঃ উসুলে কাফী, ৩য় খন্ড, পৃ.২৬৮।]
সর্বোত্তম নেক কাজ সম্পর্কে ইমাম রেযা (আঃ) বলেন- “যারা নেক কাজে আত্মতুষ্টি লাভ করে, অন্যায় করলে ক্ষমা প্রার্থনা করে, যাদেরকে কিছু প্রদান করলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে, যারা বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করে এবং ক্রোধের সময় আত্মসংবরণ করে।”
[সূত্রঃ তোহফুল উকুল, পৃ.৪৬৯।]
ইমাম রেযা (আঃ) বলেন- “ঈমানের চারটি স্তম্ভ রয়েছে; যথা: তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, আল্লাহর আদেশ যথাযথভাবে মেনে চলা এবং যাবতীয় বিষয়াবলীকে আল্লাহর প্রতি সমার্পণ করা।”
[সূত্রঃ: তোহফুল উকুল, পৃ.৪৬৯।]
তাওয়াক্কুল সম্পর্কে ইমাম রেযা (আঃ) বলেন- “তাওয়াক্কুল হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় না করা।”
[সূত্রঃ তোহফুল উকুল, পৃ.৪৬৯।]
জ্ঞান ও মূর্খতা সম্পর্কে ইমাম রেযা (আঃ) বলেন- “প্রত্যেক মানুষের জ্ঞান হল তার প্রকৃত বন্ধু এবং অজ্ঞতা হল শত্রু।”
[সূত্রঃ: তোহফুল উকুল, পৃ. ৪৬৭।]
“সে-ই প্রকৃত মু’মিন যে তিনটি বৈশিষ্ট্য যথাযথভাবে মেনে চলবে; যথা: আল্লাহর সুন্নত, রাসূলের (সা.) সুন্নত এবং ইমামগণের সুন্নত। আল্লাহর সুন্নত হল স্বীয় রহস্য গোপন রাখা; রাসূলের (সা.) সুন্নত হল মানুষের সাথে স্নেহপরায়ণ ও উত্তম আচরণ করা এবং ইমামগণের সুন্নত হল বিপদাপদে ধৈর্য ও সহিঞ্চুতা অবলম্বন করা।”
[সূত্রঃ উসুলে কাফী, খন্ড ৩য়, পৃ.৩৩৯।]
– তাহিয়া তাবাসসুম