হোমপেজ আহলে বায়াত (পাকপাঞ্জাতন) হোসাইনের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে নবীর মহব্বতে কাঁদিবে।

হোসাইনের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে নবীর মহব্বতে কাঁদিবে।

হোসাইনের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে নবীর মহব্বতে কাঁদিবে।

কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন আ: এর শাহাদতের মর্মান্তিক ঘটনা যদি কাহারও হৃদয়ে দাগ কাটে এবং তা থেকে কেউ শোক আহাজারি ও মাতম করে কাঁদে তবে সেখানে দোসের কিছু নেই।

কেননা মানুষের জীবন শুরুই হয় কান্নার মধ্য দিয়ে। একজন মানব সন্তান মায়ের উদর থেকে ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর তখন সে চিৎকার দিয়েই কাঁদে আর যদি না কাঁদে তখন তার পিঠে থাপ্পর মেরে হলেও কাঁদাতে হয়।এখন সমাজের কাঁঠ মোল্লারা যদি বলে বেড়ায় যে সকল প্রকার কান্নাকাটি করা বেদআত।

তাহলে কাঠ মোল্লাদের বেদআত ফতোয়ার জবাবটি এভাবেই দেওয়া যায় যে, মানব সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর যখন কাঁন্নাকাটি করে তখন সেই শিশুটিকে কি বেদআতি বাচ্চা বলবেন?

যদি কাঠ মোল্লারা শিশুটিকেও বেদআতি বাচ্চা বলেন তাহলে তিনি নিজেও তার মায়ের উদর থেকে ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর যখন কাঁন্নাকাটি করেছিলেন তাহলে তিনিওতো বেদআতি বাচ্চা।

এই সব কাঠ মোল্লাদের নিকট বেদআত শব্দটি এত সস্তা হয়ে গেছে যে কথায় কথায় মুখ দিয়ে বলেই বসে এটা বেদআত ঐটা বেদআত। আসল কথা হইল তাহারা নিজেরাই একটা বেদআত।

এখন আমরা ইমাম হুসাইন (আ:) এর কারবালার ময়দানে শাহাদতের মর্মান্তিক ঘটনার উপর শোক মাতম ও কান্নাকাটি করার বিষয়ে মহানবী (সা:) কি বলে গেছেন তা আমরা জেনে নেই।

ইমাম হুসাইন (আঃ) এর শাহাদতের জন্য ক্রন্দন, মাতম, আযাদারী, শোক প্রকাশ প্রসঙ্গে মহানবী (সাঃ) বলেছেন: নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে হুসাইনের শাহাদতের ব্যাপারে এমন ভালবাসা আছে যে, তার উত্তাপ কখনই প্রশমিত হবে না।

মহানবী (সাঃ) আরও বলেছেন:নিশ্চয় ঐসমস্ত চোখ কিয়ামতের দিন কাঁদতে থাকবে, কেবল সেই চোখ ছাড়া যার চোখ ইমাম হুসাইন (আ:) এর শাহাদতের ঘটনায় কাঁদবে ঐ চোখ সেদিন হাঁসতে থাকবে এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ ও বিপুল নেয়ামত দান করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ইমাম জয়নুল আবেদিন (আঃ) থেকে নিম্নের হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে: “যদি কোন মুমিন বান্দা ইমাম হুসাইন (আ:) এর শাহাদতের কথা স্বরণ করে কাঁদে, তাহলে এ কাঁদার মধ্য দিয়ে তার চোখ থেকে যে অশ্রু ঝড়বে, সেই অশ্রুর প্রতিটি ফোটার জন্য আল্লাহ তায়ালা বেহেস্তে তার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবেন এবং সেখানে সে চিরন্তন অবস্থান করবে।”

গ্রন্থসূত্র:
– সওয়াবুল আমাল, (১ম খন্ড,পৃ. ১০৮)।
– মুনতাখাবুল মিযানুল হিকমাহ, (পৃ. ২৮)।