শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৪

    (পর্ব-৪)

    হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের বাণী ও উপদেশ

    ৬১.
    “মনে রাখিও, পীরের দরবারের ধুলাবালি আশেকানদের চোখের সুরমা।”

    ৬২.
    “দরবারকে সর্বদাই ইজ্জত করিও।”

    ৬৩.
    “দরবারের দায়েরার মধ্যে নগ্ন পায়ে চলিও। পীরের দরবারে মুরীদ সবসময়ই গােলাম। গােলামকে গােলাম হিসাবেই থাকা কর্তব্য।”

    ৬৪.
    “দায়েরায় কোথাও কফ, থুতু ফেলিও না। থুতু ফেলিবার প্রয়ােজন হইলে দায়েরার বাহিরে ফেলিবে।”

    ৬৫.
    “পীরের হুজরার দিকে কফ, থুতু ফেলিও না।”

    ৬৬.
    “হুজরার দিকে পা লম্বা করিয়া বসিও না।”

    ৬৭.
    “পীরের দরবারে সর্বদাই আল্লাহর ইয়াদে মশগুল থাকিও। শােরগােল করিও না।”

    ৬৮.
    “নিজেকে অন্যের চেয়ে বড় মনে করিও না। অন্যের চেয়ে নিজেকে বড় ভাবাই অহংকার। আর অহংকারই পতনের মূল।”

    ৬৯.
    “যাহাকেই দেখ না কেন, তাহাকেই নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করিবে। যদি বয়জৈষ্ঠ্যকে দেখ, ভাবিও তিনি তোমার চেয়ে অধিক পরিমান ইবাদত করিয়াছেন, ফলে তােমার চেয়ে অধিক নেকি অর্জন করিতে সক্ষম হইয়াছেন। কাজেই তিনি তােমার চেয়ে উত্তম। আর যদি বয়ঃকনিষ্ঠকে দেখ, ভাবিও সে তােমার মত এত অধিক গােনাহ করিবার সময় পায় নাই; তাই সে তােমার চেয়ে উত্তম।”

    ৭০.
    “কাহারাে সাথে খারাপ ব্যবহার করিও না। এই দরবারে বহু অলী-আল্লাহ ঘুরিয়া বেড়ায়। তােমরা তাহাদেরকে চেন না। কাজেই কখন তােমরা কাহার সহিত তিক্ত আচরণ করিবে, ফলে তােমাদের তকদিরে বরাঈ আসিবে। কাজেই ব্যবহারকে সর্বদাই মার্জিত রাখিও।”

    ৭১.
    “তােমরা পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ করিও না। খাজাবাবা কাহাকে কতটুকু ভালবাসেন, তােমরা তাহা জানো না। হয়তঃ এমন একজনের সহিত তুমি ঝগড়া করিতেছ-যাহাকে খাজাবাবা তােমার চেয়ে অধিক ভালবাসেন। ফলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে।”

    ৭২.
    “যতটুকু বা যতখানি খেদমতই কর না কেন, তাহাতে গর্বিত হইও না। আল্লাহপাক অহংকারীকে ভালবাসেন না। সর্বদাই মনে করিও, তােমার খেদমত কবুলিয়তের যােগ্যতা পায় নাই।”

    ৭৩.
    “আল্লাহ রাসূলের দরবার হিসেবে জাকের মঞ্জিলকে তােমরা ভালবাসিও। মনে প্রাণে মহব্বত করিও।”

    ৭৪.
    “প্রকাশ্যে বা গােপনে জাকের মঞ্জিলের কোন রূপ ক্ষতির চেষ্টা করিও না। যদি কর, আল্লাহর কোপানলে পতিত হইবে এমনকি যদি মনে মনেও ক্ষতি করার চিন্তা কর, তাহা হইলেও বিপদগ্রস্ত হইবে।”

    ৭৫.
    “শরীয়তের খেলাফ কোন কাজ দরবারে করিবে না অন্যকেও তাহা করিতে নিষেধ করিবে।”

    ৭৬.
    “বিশ্ব জাকের মঞ্জিল অলী-আল্লাহগণের মজলিশ। এখানে কোনরূপ বেয়াদবী করিও না। বেয়াদবী করিলে দুদিন আগে বা পরে তকদিরে পােকা ধরিবে। শুধু তাই নয়, বেয়াদবীর কারণে বংশানুক্রমে দূর্ভোগ আসিতে পারে।”

    ৭৭.
    “নিজেকে সব সময়ই মনে, মুখে ও কাজে নিকৃষ্ট চিন্তা করিবে। ছােট না হইলে বড় হওয়া যায় না।”

    ৭৮.
    “তােমাদের দেহের মধেও আগুন আছে। সেই আগুনের স্বভাবও আছে তাহা হইল অহংকার। সর্বদাই হুশিয়ার থাকিও, যেন আগুনের স্বভাব তােমাদের উপর প্রভাব ফেলিতে না পারে।”

    ৭৯.
    “তােমরা নিজেদেরকে মাটির মত করিয়া গড়িয়া তুলিও। দেখ, মাটিতে কত রংবেরং-এর চিত্তাকর্ষক ফুল হয়, সুস্বাদু ফল হয়; নিজেদের স্বভাবকে যদি মাটির মত বিনয়ী করিতে পার, তাহা হইলে মাটির তৈরী তােমাদের এই দেহের প্রত্যেক অণুতে কলেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মােহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ফুল ফুটিবে, খােদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞানরূপ ফল ধরিবে।”

    ৮০.
    “তােমাদের দেলকে যদি উক্ত অনুভূতির রঙে রঙ্গিন করিতে পার তবে সর্বদাই তােমাদের উপর আল্লাহর রহমতের বারি বর্ষিতে থাকিবে।”

    সূএঃ “বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি” হতে।
    ⇒ শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব

    আরো পড়ুনঃ
    Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

    Sufibad24.com | Telegram Channel