শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৫

    (পর্ব-৫)

    হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের বাণী ও উপদেশ

    ৮১.
    “নিজেকে ছােট ভাবিও, তাহা হইলে আল্লাহ তােমার ইজ্জত বৃদ্ধি করিয়া দিবেন।”

    ৮২.
    “হিন্দু, মুসলীম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জন করতে পারে। তাহলেই কেবল বিশ্ব শান্তি আসতে পারে।”

    ৮৩.
    “যে পীর মুরিদকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে না, সে কামেল মোকাম্মেল পীর হইতে পারে না”

    ৮৪.
    “নিশির শেষ ভাগ। রহমতের সময়। রাত্রির তিন ভাগের দুই ভাগ অতিবাহিত হইবার পর রহমতের সময় শুরু হয়। এই সময়ের ইবাদত-বন্দেগি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ন ও বরকতময়।”

    ৮৫.
    “মাের্শেদে কামেল আল্লাহর গুণে পূর্ণ গুণান্বিত হইয়া (ওজুদ মাওহুব লাহু) দ্বারা প্রতি মানুষের অন্তবের খবর জানিতে পারেন ও দুনিয়ায় কাহার কোন জিনিষের প্রতি আকর্ষণ তাহা জানিয়া থাকেন। তারপর একে একে দুনিয়ার সকল আকর্ষণ গ্রন্থি হইতে তিনি তদীয় মুরীদ সন্তানকে বিমুক্ত করিয়া আল্লাহতায়ালার গন্তব্যের পথে লইয়া আল্লাহ তায়ালার জাতপাকের সহিত বিভিন্ন স্তরে ফানা লাভের উচ্চ মরতবা দান করেন।”

    ৮৬.
    “তোমরা যতটুকু বা যতখানি খেদমতই কর না কেন, তাহাতে গর্বিত হইও না। আল্লাহপাক অহংকারীকে ভালোবাসেন না। সর্বদা মনে করিও, তোমার খেদমত কবুলিয়তের যোগ্যতা পায় নাই। নিজেকে ছোট ভাবিও, তাহা হইলে আল্লাহ তোমার ইজ্জত বৃদ্ধি করিয়া দিবেন।”

    ৮৭.
    “দুনিয়াতে থাকাবস্থায় তোমরা যে যতটুকু অগ্রসর হওনা কেনো, তোমাদের ছায়ের ছুলুক যদি জীবৎকালে সম্পন্ন নাও হয়, তবুও ভয় নাই মৃত্যুর পরে কবরের মধ্যে দুই পূন্যিআত্বা রাসুল সাঃ ও আপন পীর তোমাকে প্রশিক্ষন দিবেন মারেফতের তালিম দিবেন। ফলে হাশরের মাঠে সকলে আল্লাহর ওলী হইয়া উঠবেন।”

    ৮৮.
    “খোদাতায়ালার নিদর্শন দেখিবার জন্য দেল দরিয়ায় ডুব দিবে, কিন্তু অছিলা ব্যাতীত একা একা কস্মিনকালেও দেল সমুদ্রে খেয়ালকে ডুবাইতে পারিবে না।”

    ৮৯.
    “খেয়াল কালবে, কালব আল্লাহর দিক, আল্লাহ হাজের-নাজের; খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালেকে হাজের-নাজের ওয়াহেদ জানিয়া ‘হুজুরী’ কালবে সেজদা করাই ‘আসসালাতু মে’রাজুল মু’মিনীন।”

    ৯০.
    “নামাজের দুইটি দিক বা অবস্থা রহিয়াছে। একটি জাহেরী অবস্থা যাহাকে দেহের সহিত তুলনা করা যায়, আর একটি বাতেনী অবস্থা যাহাকে প্রানের সহিত তুলনা করা যায়।”

    ৯১.
    “আল্লাহকে ভুলাইয়া রাখা নাফসে আম্মারার কাজ। নাফসে আম্মারা আল্লাহর শএু। আল্লাহকে ভুলিয়া যে কেহ নামাজে দুনিয়াবী চিন্তায় মাসগুল থাকে, সে তো নাফসের দাসত্ব করে।”

    ৯২.
    “তোমরা যদি নামাজের পূর্ণতা লাভ করিতে চাও, নামাজের সর্বোচ্চ স্তর মে’রাজের প্লাটফর্মে পৌঁছাইতে চাও, তাহা হইলে চেষ্টা সাধনা এবং কঠিন খেদমত করিতে থাক।”

    ৯৩.
    “হে জাকেরান! তোমরা পীরের খেদমত কর এবং প্রদও তালিম অনুযায়ী চর্চা কর, সাধনা কর।”

    ৯৪.
    “কামেলের সাহচর্য, খেদমত ও প্রশিক্ষণমত অনুশীলন সম্ভব নয়। ফলে শরহে ছদরের ঘ্রান পাওয়াও সম্ভব নহে।”

    ৯৫.
    “খোদাপ্রাপ্তির পথ বড় কণ্টকাকীর্ণ। এই পথে অসংখ্য পরীক্ষা দিতে হয়। কঠোর শ্রমের পরীক্ষা, দরিদ্রতার পরীক্ষা, অনাহার অনিদ্রার পরীক্ষা, অপরিসীম ত্যাগের পরীক্ষা। কঠিন পরীক্ষার কষ্টিপাথরে যাচাই না করিয়া খোদাতায়ালা কাহাকেও নিজ দরবারে প্রবেশের যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন না।”

    ৯৬.
    “অলী-আল্লাহসকল জেকেরকারী দল-যাহাদের অছিলায় গাছে ফল হয়, জমিনে শস্য হয়, পানিতে মাছ হয়, আকাশ হইতে মিঠা পানি বর্ষে। তাহাদের ওসিলাতেই জগতে রহমতের ধারা প্রবাহিত থাকে।”

    ৯৭.
    “অলি-আল্লাহসকল যেমন তাহাদের জীবদ্দশায় সকলের জন্য খোদা প্রাপ্তির ওসিলা, তেমনি দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যান প্রাপ্তির মাধ্যম।

    ৯৮.
    “অলি-আল্লাহগনের মাজার জেয়ারতে ইহ ও পারলৌকিক-উভয় কল্যান নিহিত। মাজার জেয়ারতে দুনিয়ার মহব্বত হ্রাস পায়। মনের অহংবোধ ক্ষনিকের জন্য হইলেও স্তিমিত হয়।”

    ৯৯.
    “শরিয়তের খেলাফ হয়-এমন কোন কাজ মাজারে করিবে না। ইহা ঘোর বেয়াদবী।”

    ১০০.
    “মাজার জেয়ারতে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, বাতেনী ফয়েজ হাসিল হয়, দুনিয়াবি বিভিন্ন মকছুদ মাজারবাসী পূণ্যাত্মার ওসিলায় আল্লাহ ক্ষমা করেন।”

    সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ হতে।
    ⇒ শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব

    আরো পড়ুনঃ
    Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

    Sufibad24.com | Telegram Channel