নারী মোহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:

নারী মোহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:

মুক্তিকামী একজন সাধকের জন্য নারী মোহ অত্যান্ত কঠিন বাধা। এই বাঁধা অতিক্রম না করে মোকামে মাহমুদায় স্থান লাভ করা যায়না। যৌন ভাব দেহের মধ্যে জড়িয়ে থাকে। মস্তিষ্কে মধ্যে যৌনভাব সৃষ্টি হলেই কেবল মাত্র বীর্যের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কারন কোন বস্তু সৃষ্টির পূর্বে কম্পন হতে হয়। কম্পন ব্যতীত বীর্য সৃষ্টি হয়না। একটা দেহকে কেটে টুকরু টুকরু করে ফেললেও রক্ত ব্যতীত বীর্য পাওয়া যাবেনা। বীর্য শূন্য (লা) অবস্থায় থাকে।

যৌন ভাব ছাড়া বীর্যের সৃষ্টি হতে পারেনা।আর বীর্যের মধ্যে রয়েছে মানুষ সৃষ্টির বীজ। একটা দেহের মধ্যে অসীম বীজ বিদ্যমান। একটা দেহাধারী মানুষের বীর্যের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ সৃষ্টি হতে পারে যদি প্রতিটি বীর্য কাজে লাগে। কিন্তু বীর্য পাতের ফলে অসংখ্য বীজ মারা যায়। এগুলোও এক একটা জীব। ধর্ম শাস্ত্রে বলা হয়েছে এবং সাধকগনও বলেন “জীব হত্যা মহাপাপ” অথচ মানব জীবনে বীর্যস্খলন একটা অপরিহার্য বিষয়। কারন বীর্য পাত ছাড়া মানুষ সৃষ্টি অসম্ভব। আবার শিরিকের মধ্যে সবচেয়ে বড়ড় শিরিক হলো বীর্যস্খলন অর্থাৎ যৌনতা।

নারী মোহ থেকে মুক্তি নিতে পারলে আর তেমন কোন মোহ থাকনা। এজন্য আল কোরানে সূরা নেসার মধ্যে নেসা শব্দের উপর বড় মদ দেওয়া আছে।অসীম নারী মোহ থাকলে আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে না। যৌনভাব মস্তিষ্কে থাকলে সালাতের নিকটেও সাধক যেতে পারেনা। (সূরা নেসা নং ৪৩)

গ্রন্থঃ জীব ও ইনসান, (পৃষ্ঠা নং: ৫৩-৫৪)
লেখকঃ গোলাম মোস্তফা

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel