পরকালের সহায়ক পার্থিব বস্তু অমঙ্গলজনক নহে!
ইলম (জ্ঞান), ও মুনাজাতের আনন্দ, এবং আল্লাহর জিকিরের প্রতি আসক্তি, সংসারের সকল ভোগ্যবস্তু অপেক্ষা মিষ্টতম। এগুলো দুনিয়াতে থাকিলেও দুনিয়ার অন্তর্ভুক্ত নহে। এমনকি যে সকল ভোগ্যবস্তু ধ্বংস হইয়া যায়, স্থায়ী থাকে না সেগুলোর সবই মন্দ নহে।
ভোগ্যবস্তু দুই ভাগে বিভক্তঃ
প্রথমত: যেসকল বিষয় বস্তু দুনিয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হইয়া যায়, কিন্তু পরকালের কার্য ইলম ও আমলের সহায়তা করে এবং মুসলমানের বংশ বৃদ্ধি করে, এগুলি মন্দ মহে; যেমন বিবাহ, পানাহার, পরিচ্ছদ ও বাসস্থান। এ সকল বস্তু পরিমানগত ও পরকালের আবশ্যক অনুযায়ী ব্যবহার করিলে খারাপ নহে। প্রশান্ত মনে ইবাদতে লিপ্ত থাকিবার উদ্দেশ্যে যে ব্যাক্তি এ সকল বস্তু আবশ্যক পরিমানে লাভ করিয়া পরিতুষ্ট থাকে সে দুনিয়াদার নহে।
দ্বিতীয়ত: পার্থিব বস্তুর মধ্যে যেগুলোর উদ্দেশ্য পরকাল নহে; বরং ইবাদতের প্রতি উদাসিনতা, অহংকার ও দুনিয়ার আসক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরকালের প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মাইয়া দেয় তাহা ঘৃণ্য ও মন্দ।
এ জন্যই রাসুলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন—
“দুনিয়া স্বয়ং অভিশপ্ত। আল্লাহর জিকির ও আল্লাহর জিকিরকার্যে সাহায্যকারী ব্যাতিত জগতে আর যাহা কিছু আছে সবই অভিশপ্ত।
— (হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.) রচিত, কিমিয়ায়ে সা’আদাত বা সৌভাগ্যের পরশমণি- পৃঃ ৯৩,৯৪)