তত্ত্ব জানার জন্য নয়, তাতে প্রাণ প্রতিষ্টা করতে হয়।
তত্ত্ব জানার জন্য নয়, তাতে প্রাণ প্রতিষ্টা করতে হয়। যেকোনো জ্ঞান যদি শুধু মস্তিষ্কে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা কোনো কাজে আসে না। জানাকে প্রাণ দিতে হয়, কর্মে রূপান্তর করতে হয়। তত্ত্বের যাত্রা শেষ হয় তার বাস্তব প্রয়োগে, কিন্তু অনেকেই এই পথ ভুলে যায়। তারা তত্ত্ব শুনে, বুঝে, কিন্তু নিজের জীবন বা আচার-আচরণে তার প্রয়োগে ব্যর্থ হয়।
আমরা অনেক কিছু জানি, কিন্তু কতটুকু কাজ করি? বড় বড় তত্ত্ব জানার চেয়ে, জীবনে সেই তত্ত্বগুলো কাজ করার মাধ্যমে সাফল্য আসে। যেমন, একজন ভালো ডাক্তার শুধু মেডিক্যাল বই পড়েই বড় ডাক্তার হতে পারে না, তাকে সেসব পড়া তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ করতে হবে, রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে। অন্যথায়, জানার কিছুই প্রভাব ফেলবে না।
জীবনকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে হলে শুধু জানলেই হবে না, মানতেও হবে। ‘জানো’ অনেক দূরের ব্যাপার, কিন্তু ‘মানো’ তখনই কার্যকরী হবে যখন তা তত্ত্বের বাইরে বাস্তবে প্রতিফলিত হবে। জীবন শুধু জানার নয়, মানার পথেও এগিয়ে যেতে হয়।
তত্ত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে থাকলে জীবনের গতি থেমে যায়। তাই জানার সীমা অতিক্রম করে, নিজের বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে তা কাজে লাগাতে হবে। কারণ শুধু জানার মধ্যেই পূর্ণতা নেই, পূর্ণতা আসে কর্মকাণ্ডে, প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি কর্মে।
তুমি যেভাবে জানো, তেমনি সেভাবে কাজ করো। তত্ত্বের প্রতি তোমার প্রেমকে কর্মে পরিণত করো, তখনই তুমি জানবে এর প্রকৃত অর্থ।
-ফরহাদ ইবনে রেহান