বেলায়ত কি এবং বেলায়ত শক্তির ধরন:

মহা প্রভুর সঙ্গে বিলিন হয়ে অর্জিত শক্তিই বেলায়ত। সকল মুমিন এ বেলায়ত লাভ করে থাকেন।

বেলায়ত দুই প্রকারঃ

(১) বেলায়তে ঈমান
(২) বেলায়তে এহসান

খোদার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে বেলায়তে ঈমান বলা হয়, এবং খোদার রহস্যপূর্ণ ক্ষমতাকে বেলায়তে এহসান বলা হয়। কেবলমাত্র নবী ও ওলিগন এ বেলায়ত লাভ করে থাকেন।

বেলায়ত লাভ করার ধরনকে চারভাগে ভাগ করা যায়:

(১) বিল আছালত বা প্রকৃতিগত বেলায়ত: বিনা এবাদত ও বিনা পরিশ্রমে আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত বেলায়ত, প্রকৃতিগত ভাবে এটা অর্জিত হয়। রোজ আজলের লেখা ও কর্ম গুনে মহামানবগন এটা অর্জন করে থাকে। এই বেলায়তের অধিকারীকে মাদারজাত ওলি বলা হয়।

(২) বিল বেছারত বা রুহানিগত বেলায়ত: উত্তরাধিকারী সূত্রে অর্জিত হয়।

(৩) বিল দারাসাত বা শিক্ষাগত বেলায়ত: ইলমে জাহের ও ইলমের বাতেন (গুপ্ত বা ঐশী জ্ঞান দ্বারা এই বেলায়ত অর্জন হয়)।

(৪) বিল মালামাত বা নফসের সাথে জিহাদে অর্জিত বেলায়ত: নিজের মনের কুপ্রবৃত্তির (ষড়ঋপু) সাথে জিহাদ করে অর্জন করা হয়।

মাকাম ভেদে বেলায়ত তিন প্রকারঃ

(১) বেলয়তে ছোগরা: সাধরন সৎ ব্যাক্তিদের উর্ধ্বের বেলায়তি শক্তি।

(২) বেলায়তে ওছতা: ফেরেস্তাদের উর্ধ্বের মধ্যম স্তরের বেলায়ত শক্তি।

(৩) বেলয়তে ওজমা: বেলায়তে ওজমা হচ্ছে সর্বোচ্ছ বেলায়তি শক্তি। এ বেলায়ত শক্তির অধিকারীগন সৃষ্টি জগতে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারে সক্ষম। এ ক্ষমতা অধিকারীদের শ্রেষ্ঠ ওলি বলা হয়।

সর্বোপরি বেলায়তি ক্ষমতার ওলিগন মসরব অনুযায়ী দু-ভাবে বিভক্ত:

(১) কুতুবিয়ত।
(২) গাউছিয়ত।

কুতুবিয়ত– কর্ম সম্পাদনে উচ্চ মর্যাদা লাভকারীকে কুতুবুল আকতাব বলা হয়। এটাই কুতুবিয়তের অবস্থান।

গাউছিয়ত– মহান রবের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ত্রানকর্তা ও সাহায্যকারীকে গাউছুল আজম বলা হয়। গাউছিয়তের মাকাম অর্জনকারীকে বিল আছলত বা জন্মগত ওলি বলা হয়। গাউছুল আজম আল্লাহর পক্ষ হতে সয়ং খেদায়ী ভান্ডার হতে মাখলুকাতের (সৃষ্টির) মঙ্গলময় ত্রানকর্তা ও সাহায্যকারী রুপে প্রকাশিত হয়।