জাত-সিফাত (পর্ব-০২)
আহাদী জগতে পঞ্চজাত একত্রে ছিল, আহাম্মদী জগতে এসে দুই ভাগ হয়। নূর তথা সাফা (আকাশ) আলাদা হয়ে যায় এবং বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি একত্রে থাকে (কিন্তু এই চার জাতের মাঝেও নূর বিদ্যমান)। তারপর মুহাম্মদী জগতের সৃষ্টি হল, তখন বাতাসও আলাদা হয়ে গেল এবং আগুন, পানি, মাটি একত্রে রইলো এবং আস্তে আস্তে আগুন হতে পানি ও মাটি আলাদা হল এবং শেষে মাটিও আলাদা হয়ে গেল পানি হতে। অর্থাৎ অর্থাৎ আহাম্মদী জগতে জাতের রূপ ছিল বাতাস আকারে, যদিও বাতাসের আকার হয় না, আমি সহজে বুঝানোর জন্য বললাম।
এগুলো মূলত হবে দেহের সাথে, মানব সৃষ্টির কৌলশ এভাবেই। প্রথমে হাহুত মঞ্জিল তথা লা মোকামে সন্তান নূর রূপে থাকবে, সেখান থেকে ইস্কের বাতাসের গতিবেগের কারনে অগ্নির উত্তপত্তি হবে। আর শেষে পানির আকারে মাতৃ রেহেম (মাতৃগর্ভে) পতিত হবে। তারপর পূর্ণ মানব শিশুর জন্ম হবে। এটা জাত এর সৃষ্টির ক্রমাগত ধারা। কিভাবে একের পর একের প্রকাশ হয়ে মানুষ নামক একটি বিশ্ব সৃষ্টি হয় পঞ্চজাতের দ্বারা (মানব দেহ একটি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড)। আর তার সাথে স্রষ্টা যুক্ত করে দিয়ে দেন ৭ সিফাত। আর তখনই মানব জাগ্রত হয়।
লেখার মনভাব নেই আগের মত, মনের সাথে যুদ্ধ করে অনেক কষ্টে এটুক লিখলাম ক্ষমা করবেন। আগামী পর্বে বৃহৎভাবে আলোচনার চেষ্টা করব।
» জাত-সিফাত (সবগুলো পর্ব পড়ুন)
লেখাঃ DM Rahat
YouTube: Sufism BD