
প্রাণায়াম (পর্ব-০২)
প্রাণায়ামাদি দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা দেহের কল্যানের জন্য অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের জন্য আর আরেক ধরনের হলো আত্মিক উন্নতির জন্য। আমি দুইটা দিক নিয়ে সংক্ষেপে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রাণায়াম করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে মুদ্রা ও আসন সম্পর্কে। মুদ্রা দ্বারা যেটা বুঝায় সেটা সহজে বুঝানোর জন্য আমি এই ছবিটি ব্যবহার করেছি। বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা অন্য আঙুলি ধরে বাকী আঙুল গুলো ছেড়ে রেখে হাটুর উপর হাত রাখার দৃশ্যটাই হলো মুদ্রা। এটা বিভিন্ন ভাবে করা যায়। ছবিতে কয়েকটা পদ্ধতি দেওয়া আছে, আপনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে যে কোনো আঙ্গুলই ধরতে পারেন চাইলে। মুদ্রা আপনার মনকে একজায়গায় স্থির করতে অনেক সহযোগিতা করবে।
আর আসন অর্থ ত বুঝেনই সবাই। আসন মানে হল বসে থাকা। প্রাণায়াম করার জন্য বসার কয়েকটা নিয়ম আছে। তবে যোগাসন ও পদ্মাসনই উত্তম ও সহজ। পদ্মাসন কষ্ট হলেও উপকারী বেশি। বাম পায়ের উপর ডান পা রেখে মেরুদন্দ সোজা করে বসা। আর পদ্মাসন হলো বাম হাটুর উপর ডান হাটু ও ডান হাটুর উপর বাম হাটু উঠিয়ে বসা। এই আসনের মাধ্যমেও দেহের অনেক উপকার বিদ্যমান। যেমন যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগ গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই আসন দ্বারা। নারীদের জন্যেও অনেক অনেক উপকারী, বিশেষ করে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা গুলোর জন্য বেশি উপকারী।
(প্রাণায়াম নিয়ে বেশি পোস্ট দিব না। সহজ ভাষায় আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করব মূল বিষয়গুলো। বাকী বিষয় গুলো আপনারা বিভিন্ন ওয়েব সাইট বা বইতেও পাবেন। তবে সেগুলো বুঝতে অনেক কষ্ট হয়। তবে এমন ভাবে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে আপনারা ঐগুলোও দেখলেই সহজেই বুঝে নিতে পারেন)।
চলবে….
লেখকঃ DM Rahat (Dewan Rahat)