হোমপেজ আমল ও ওজিফা নকশবন্দিয়া-মোজাদ্দেদিয়া তরিকার আমল।

নকশবন্দিয়া-মোজাদ্দেদিয়া তরিকার আমল।

4948

নকশবন্দিয়া-মোজাদ্দেদিয়া তরিকার আমল।

পাক-কালাম ফাতেহা শরীফ পাঠ করার নিয়মাবলি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

অতীব আদরের সাথে বসিয়া মনোযোগ সহকারে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ নিম্নের ফাতেহা শরিফ পড়িবে।

  • (১) প্রথমে তওবা করিবে-“আস্তাগ ফিরুল্লাহে রাব্বী মিন কুল্লে জাম্বেও ওয়া তুবু ইলাইহে”- সাত (৭) বার।
  • (২) অতঃপর বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতেহা (আলহামদু…) পড়িবে- তিন (৩) বার।
  • (৩) তারপর বিসমিল্লাহসহ সূরা এখলাস (কুলহু আল্লাহ…) – দশ (১০) বার।
  • (৪) তারপর দরুদ শরীফ- এগার (১১) বার পড়িবে।

দরুদ শরীফ – আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম।

খতম শরিফ পালন করার নিয়মাবলি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

  • বিসমিল্লাহ সহ একশত (১০০) বার নিম্নের দরুদ শরীফ পড়িবে।

দরুদ শরীফঃ “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম।”

  • অতঃপর পাঁচশত (৫০০) বার “লা হাওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”-পড়িবে।
  • পুনরায় উপরে উল্লেখিত দরুদ শরীফ- “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম” একশত (১০০) বার পড়িবে।
  • এই সাতশত (৭০০) বার খতম শরীফ পড়িয়া তরিকার ইমাম, হযরত শায়খ আহমেদ সেরহিন্দী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবকে নজরানা দিবে।

(“খতম শরিফ” এই আমলটি “নকশবন্দিয়া মোজাদ্দেদিয়া” তরিকার আমল কুরআন সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত তাই যে কেউ আমল করতে পারেন)।

“বিশ্বজাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি” হতে সংগৃহীত।