যে নিজেকে চিনেছে সে তার রবকেও চিনেছে।
“মান আরাফা নাফসাহুু ফাক্বাদ আরাফা রাব্বাহুু”
অর্থাৎঃ “যে নিজেকে চিনেছে সে তার রবকে ও চিনেছে।”
নিজকে এবং আল্লাহ-নবীকে চিনার উপায় কি?
আল্লাহকে, নবীকে, নিজকে নিজে চিনতে হলে জানতে হলে এক জন আরেফ পর্যায়ের জানলেওয়ালা কামেল পীরমুর্শিদের শরণাপন্ন হতে হবে এবং একজন কামেল অলিআল্লাহর হাতে হাত রেখে বায়াত গ্রহণ করতে হবে। তার পর তাহার আদেশ নির্দেশ সহবত, মহব্বত, গোলামীতে রুজু হয়ে নিগুড় বিষয় গুলো নিগুড় ভাবে জানতে হয়। আর বাতেনের টা বাতেনেই রাখলাম যার যার পীরমুর্শিদ থেকে জেনে নিবেন।
কোরআনুল কারিমে সুরায় মায়েদা ৩৫নং আয়াতে কারিমায় ইরশাদ করেন,
“ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তা-কুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলায়হিল ওয়াসিলাতা ওয়া জাহিদু ফী সাবিলিহী লায়াল্লাকুম তুফলিহুন।”
অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার জন্য ওসিলা (মাধ্যম) সন্ধান কর এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের রাস্তায় সাধনা কর, তবেই তোমরা মুক্তি লাভে সফল হবে।”
উক্ত আয়াতে কারিমায় মুক্তি লাভের চারটি রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যথাঃ (১) ঈমান গ্রহণ কর, (২) খোদা ভীতি অবলম্বন কর, (৩) অসীলা তালাস কর। এবং (৪) আল্লাহর পথে মাধ্যম পাওয়ার জন্য সাধনা কর।
আল্লাহকে, নবীকে এবং নিজেকে চিনতে হলে একজন অলি-আল্লাহর শরণাপন্ন হতে হবে নচেৎ একা কারো পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব না। একা কখনো প্রেম হয় না। আল্লাহ বলছে দুনিয়াতে থাকা কালিন তোমরা আমাকে দেখে চিনে জেনে আস নতুবা কাল হাসরের মাঠে তোমরা অন্ধ হয়ে উঠবে।
আল্লাহকে চিনা জানা দেখা পরিচয় লাভ করার নামই হল মারেফত। যাহা আছে ভ্রমাণ্ডে তা আছে তোমার দেহ ভান্ডে। কাছের বস্তু দূরে রেখে সাত আসমানের উপরে সাত জমিনের নিচে গিয়ে কি খোঁজ? আল্লাহ কি সাত আসমানের উপরে সাত জমিনের নিচে আছে কেউ দেখছেন কি?
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের মাঝে বিরাজমান বলেই তিনি পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেনঃ-
“আমি তোমাদের অন্তরে (ক্বালবের ৭ম স্তর নফসীর মাকামে) অবস্হান করি, তোমরা কেনইবা দেখনা।” (সূরা- জারিয়াত, আয়াত-২১)।
“আমি তাঁর (মানুষের) শাহরগের চেয়েও নিকটে।” (সূরা- ক্বাফ, আয়াত-১৬)।
“আর তোমরা যেখানে থাকো, তিনি (আল্লাহ্) তোমাদের সাথে আছেন।” (সূরা- হাদিদ, আয়াত- ৪)।
আমি চ্যালেন্জ করলাম কিয়ামত পর্যন্ত খোঁজলেও আল্লাহর দেখা পাবেন না! আল্লাহকে পেতে হলে, আল্লাহ যে ভাবে আদেশ নির্দেশ যে পথ অবলম্বন করতে বলেছেন সিরাতুল মুস্তাকিমের রাস্তায় খোঁজেন তা হলে পাবেন।
আগুন, পানি, বাতাস, মাটি, নূরে ছাপা এই পঞ্চবীজে মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে আছে মার চার বাবার চার আল্লাহর দেওয়া দশ। এই আঠারো মোকামে প্রভু খেলছে মহা রশ। আরো কত কিছু যে দিয়েছেন যেখানে যা লাগে তা দিয়ে। এই সমস্ত কিছুর ভেদ রহস্য জানতে হলে বুঝতে হলে কামেল পীর-মুর্শিদ থেকে জানতে হবে, বুঝতে হবে নতুবা একা কার পক্ষে সম্ভব না।