রমেশ শীল মাইজভাণ্ডারীর ৫টি সেরা আধ্যাত্বিক গান (লিরিক)
১.
আউয়াল আখেরে মাওলা তুই রে তুই।
মওলারেই মাটির পুতলা বানাই সঞ্চারিলে রুহ
আদমের কলবে আওয়াজ আল্লাহু আল্লাহ।
দুনিয়া জলেতে ডুবাই কেয়ামত দেখালি।
ঘোর তুফানে নূহ নবীর কিস্তি কান বাছালি।
খলিলকে আগুনে ঢালে,নমরুদ বেইমান
জলন্ত আগুনে দেখালি ফুল বাগান।
বোয়াল মাছে গিলে ছিলো ইউনুচ পযগাম্বরে।
দোয়া ইউনুচ উছিলায়,মুক্ত করলি তারে।
ছালে জঙ্গির ঘরে আসি দেখালি প্রতাপ,
বোগদাদে করে দিলে কবর আজাব মাফ।
মনছুরের কলবে থাকি আনাল হক বলালি।
শুনিতে তুলিয়া আবার,জগতকে দেখালি।
খাতেমুল বেলায়ত নিয়ে ভান্ডারে উদয়,
রমেশ বলে ঠিক চিনেছি,আরত কেহ নয়।
২.
দয়াল গুরুর অপার দয়া আমি দয়ার পাত্র নই।
কি দিয়ে করিবে দয়া আমি তারে ডাকি কই।
দেখা দিয়ে সঙ্গে ফিরে, আমি কভু চাই না ফিরে।
কাম কাঞ্চনের ফান ফিকিরে, সদা দূরে দূরে রই।
জানতেন সত্য সরলতা, দেখা দিয়ে কইতো কথা।
ঘুছাইতো প্রাণের ব্যাথা, ছেলের মত কোলে লই।
রমেশের মনকে সামলাইতে, পারলেম না আর কোন মতে।
ভক্তি শূন্য অবিদ্যাতে, মনে মনে রাজা হই।
৩.
গুরু কি ধন চিনলি নারে ওরে অবোধ মন।
দান ধর্ম কাবা কাশী গুরুজীর চরণ।
গুরু যার থাকে তুষ্ট, তার উপর জগত সন্তুষ্ট।
গুরু রুষ্টে জগত রুষ্ট, কষ্ট অগনন।
যে দেশেতে গুরু জ্যোতি, সে দেশেতে নাই দিবা রাতি।
বিনা তৈলে জ্বলে বাতি, উজ্জ্বল বরণ।
গুরু দেবের কৃপা হলে, বিনা তারে টেলি মিলে।
রমেশ বলে নাই কপালে, করিতে সাধন।
পার হইবার আশা হলে, লুটিয়ে থাক চরণ তলে।
অমনি এসে লবে কোলে, তার দয়া এমন।
৪.
মানুষ হয়ে চিনলিনা মানুষ একি বিষম দায়।
কোন্ মানুষ তোর শ্বাসের পথে নিত্য আসে যায়।
মানুশ নিত্য আসা যাওয়া করে,
একুশ হাজার ছয়`বারে,
অজপার সঙ্গে ফিরে চিনা হল দায়।
ফানা ফিল্লা নদীর কুলে,
হৃদয় কদম্ব ডালে,
আসল মানুষ কুতুহলে ঢুলনি খেলায়।
রমেশ বলে হলেম মানুষ ঘর থাকেনা গেলে মানুষ
মানুষ হই চিনলেম না মানুষ শেষে কি উপায়।
৫.
তুমি দমের কলে পুতুল নাচাও
চিন্তে পারি না।
নিজে পুতুল তৈয়ার করে,
নিজে ঢুকে তার ভিতরে,
হাস গাও নাচ খেল, তোমার কারখানা।
অন্ধ আমি, পঙ্গু আমি,
বধির আমি,বোবা আমি,
আমার আমি সেওত তুমি আমি কিছু না।
দুনিয়ার ঘাণীতে জুরি, পাক্ দিতেছ
মাইজভাণ্ডারী, কলুর বলদ ঘুরে মরি চক্ষু দিলেনা।
নাচনে আয়ু অবসান, এই নাচনে নাই কি ফুরান,
(তোমার) রমেশ পুতুল নাচিয়ে হয়রান, আর নাচাইওনা।
রচয়িতাঃ-রমেশ শীল মাইজভাণ্ডারী