শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৬

    (পর্ব-৬)

    হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের বাণী ও উপদেশ

    ১০১.
    “আপন পীরের জীবৎকালে কখনই বাতেনী ফয়েজ হাছিলের নিমিওে কোন অলী আল্লাহর মাজার জেয়ারত করিওনা। শুধুমাত্র তাহার পূণ্যাত্মায় ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে করিতে পার।”

    ১০২.
    “তোমরা জানিয়া রাখ, খোদা প্রাপ্তির পথে পীর-কামেল এক অমূল্য দান, যিনার তাওয়াজ্জুহ বলেতে মুর্দা দেল জিন্দা হয় এবং দেলে আল্লাহর জেকের পয়দা হয়।”

    ১০৩.
    “প্রত্যেক নিঃস্বাসে ক্বালব-এর মদ্ধে ডুবিয়া থাক, নচেৎ হালাক হইবার ভয় আছে।”

    ১০৪.
    “জীবনভর এবাদত করিয়া শেষ নিঃশ্বাসে আল্লাহকে ভুলিয়া মরিলে যাবতীয় এবাদত বিনষ্ট হইয়া যাইবে-বেঈমান হইয়া মরিবে।”

    ১০৫.
    “বিশ্ব আত্মার সহিত স্বীয় আত্মার যোগসূত্র স্থাপন প্রতিটি মুসলমানেরই কর্তব্য এবং সেই বিদ্যাই সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যা যাহার দ্বারা আল্লাহতায়ালাকে সনাক্ত করা যায়।”

    ১০৬.
    “শুধু মুখে আল্লাহর নাম আর অন্তরে দুনিয়াবী চিন্তা, এমন নামাজে কোনো ফল নাই।”

    ১০৭.
    “ক্বালব আল্লাহতায়ালার ভেদের মহাসমুদ্র এবং এই ক্বালবের মধ্যেই আল্লাহতায়ালার নিদর্শনসমূহ লাভ করা যায়।”

    ১০৮.
    “ক্ষুদ্র একটি বটের বীজের মদ্ধে যেমন একটি বটগাছ লুকাইয়া থাকে, তেমনি মানব বক্ষস্থিত ক্বালব নামক ক্ষুদ্র একটি মাংশপিন্ডের মদ্ধে আল্লাহর ভেদের দফতর লুক্কায়িত।”

    ১০৯.
    আল্লাহতায়ালার ভেদের নিদর্শন সমূহ অনুধাবন করিতে হইলে এবং তাঁহার সহিত যোগসূত্র স্থাপন করিতে হইলে ক্বালবকে আয়নার ন্যায় স্বচ্ছ করিতে হইবে।

    ১১০.
    “‘উরস শরীফ’ জামে আম্বিয়া, জামে আউলিয়া ও তামাম পৃথিবীর মুমিন মুসলমানদের বিদেহী আরওয়াহ পাকের উপর সওয়াব রেছানীর মজলিস। উক্ত মজলিসে তোমরা শোরগোল ও বেয়াদবী করিওনা।”

    ১১১.
    “আল্লাহকে ভয় কর এবং তাহাকে পাইবার জন্য ওসিলা অন্বেষনে কর। সেই ওসিলাই যামানার কামেল ওলীসকল, যেহেতু তাঁহাদের পাক আত্মার যোগাযোগে বিশ্ব আত্মার সান্নিধ্য লাভ হয়।”

    ১১২.
    “বর্তমান যামানা অত্যন্ত মুসিবতের যামানা। অদূর ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসিবে, যখন মানুষ জলে-স্থলে সর্ব যায়গায় বিপদ ছাড়া আর কিছুই দেখিবে না। আখেরী যামানার গযব হইতে একমাত্র মুমিন লোক ব্যতীত কেহই বাঁচিতে পারিবে না।

    ১১৩.
    “শেষ রাএি অত্যন্ত মূল্যবান সময়। এসময় সমগ্র সৃষ্টি পরওয়ারদিগারের জিকিরে মশগুল থাকে। এই সময় আল্লাহ পাক রহমতের দরজা খুলিয়া তাঁহার সমগ্র সৃষ্টির জন্য বিশেষ করিয়া তাহার প্রিয় বান্দাদের জন্য রহমত বিতরন করিয়া থাকে।”

    ১১৪.
    “খোদাপ্রাপ্তিজ্ঞান অর্জন করা মানব জীবনের প্রধান লক্ষ। কারন তাহারই প্রভুত্ব স্বীকার ও তাহারই দাসত্বের জন্য মানুষের সৃষ্টি।”

    ১১৫.
    “আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহস-এই চারটি স্তম্ভের উপর খোদাপ্রাপ্তির প্লাটফর্ম স্থাপিত।”

    ১১৬.
    “আপন স্ত্রী-পুএ, মা-বাবা, ভাইবোন, আত্মীয় স্বজন, সহায়-সম্পদের চেয়ে পীরকে বেশি ভালোবাসিতে হয়; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও।”

    ১১৭.
    “যে মুরীদ নিজ জীবনাপেক্ষা পীরকে বেশি ভালোবাসিতে না পারিবে, সে কস্মিনকালেও খোদাতায়ালা পর্যন্ত পৌঁছাইতে পারিবে না। খোদাপ্রাপ্তির পথে ইহা এক অন্যতম প্রধান শর্ত।”

    ১১৮.
    “যে সকল সাধকবর্গ রাসূলে পাক (সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমে নবুওতের কামালাতের মর্যাদা প্রাপ্ত হন, তাহারা নবী নহেন সত্য; কিন্তুু নবুয়তের যোগ্যতার অধীকারী।”

    ১১৯.
    “কামেল পীরগণের কর্মকাণ্ডও নবী-রাসুলের অনুরূপ। তাঁহারাও মানব সমাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত খোদাপ্রাপ্তিতত্বজ্ঞান বিতরন করেন।”

    ১২০.
    “খোদাতালাশী ব্যক্তিবর্গ পীরে কামেলের খেদমতের মাধ্যমেই খোদাতায়ালার জাত ও সিফাতের জ্ঞান অর্জন করেন।”

    সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ হতে।
    ⇒ শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব

    আরো পড়ুনঃ
    Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

    Sufibad24.com | Telegram Channel