নারী প্রতিটি মহৎ কর্মের অনুপ্রেরণা দাতা।
ব্রহ্মান্ড অনেক বেশি সুন্দর হয় যদি সকল নারী মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহস পায়, নারীর মাঝে এক অদ্ভুত রকমের শক্তি রয়েছে, এটাকে প্রয়োগ করার সুযোগ দিতে হবে যদি তোমরা জগৎ’কে সুন্দর করে দেখতে চাও। জগৎ সুন্দর করতে মাতৃশক্তিকে উন্মুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই, যে সমাজ নারীকে যত বেশি গৃহবন্দী করে রাখে, সে সমাজ তত বেশি নোংরা হয়।
নারীর বিচরণে সমাজ অপবিত্র নয় বরং মাতৃশক্তির দ্বারা অনেক বেশি পবিত্র হয়৷ নারী ক্ষুদ্র নয়,বরং নারী জন্মেছে সকল ক্ষুদ্রকে সীমাহীন করার জন্য। ভঙ্গুর সমাজ নারী জন্মানোর সাথে সাথে’ই তাদেরকে এই শিক্ষা দেয় যেন তাঁরা বন্দীশালায় বেড়ি পরে বসে থাকে। আর নারীরাও সেই শিক্ষা সারাজীবন বয়ে বেড়ায় ভঙ্গুর সমাজে ভোগের বস্তুরূপে৷ তাঁরা কখনো নারীকে এই শিক্ষা দিতে চায় না যে নারী এক মহা শক্তির অধিকারী।
শোনো বন্দীশালায় থাকা নারীগণ তোমরা কেন কাঁদছো? তোমরা তো পূর্ণ শক্তি ভান্ডারের অধিকারী! তবে তোমাদের কেন কাঁদতে হচ্ছে? তোমারা তো ক্ষুদ্র নয়? তোমরা তো মহা শক্তি দাতা! নারী তুমি ঘুরে দাঁড়াও, তুমি সেই শক্তির ভাণ্ডার, যে শক্তিতে স্বয়ং ঈশ্বর গৌরবময়, তুমি সেই শক্তি দাঁতা যে শক্তিতে মহাবিশ্বকে জয় করা হয়। তোমরা নারী, তোমরা এক মহা শক্তির অধিকারী, তোমরা এই সত্যকে স্বীকার করে নাও এবং এই সত্যকে তোমরা তোমাদের বাস্তব জীবনে প্রকাশ ঘটাও।
পৃথিবীর সকল নারীর কাছে এই সত্যকে পৌঁছে দিতে কয়েকটি সাহসী নারীর প্রয়োজন যাঁরা কিনা এই সত্যকে বীরত্বের সাথে অনুশীলন করবেন এবং তাদের বীরত্বদ্বারা জগতের সকল নারী এ সত্যকে জানতে পারবেন। তাঁরা যেন জগতকে জানান দিতে পারেন, নারীর শক্তিতে’ই ঈশ্বর গৌরবময়, তাঁরা যেন এই সত্য প্রকাশ ঘটাইয়া জগতের বুকে কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন।
যে দিন এটা নারীদের পক্ষে করা সম্ভব হবে, সে দিন সকল নারী’ই এ সমাজের দেয়া কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাবে। নারীদের নিয়ে অপপ্রচার করা এবং নারীদেরকে তুচ্ছ বলে নিন্দা করা ভঙ্গুর সমাজ কখনো’ই বুঝতে চায় না যে নারী প্রতিটি মহৎ কর্মের অনুপ্রেরণা দাতা।
লেখা: বুদ্ধ মুহাম্মদ কৃষ্ণ
