প্রত্যেক কর্মের মজুরি সময়ে দিবে নয়তো প্রকৃতি
প্রত্যেক কর্মের মজুরি আছে, হয়তো সময়ে দিবে নয়তো প্রকৃতি! অবশ্যই, গুরুজির এই বাক্যটি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি বা সত্যকে প্রকাশ করে। এটি জানায় যে, প্রতিটি কাজের ফলাফল বা মজুরি, অর্থাৎ, যে কোনো কাজের জন্য প্রাপ্ত পুরস্কার বা পরিণতি, কিছু না কিছু সময়ে এসে পৌঁছায়—যদিও তা হয়তো তৎক্ষণাৎ না হয় বা আমাদের প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে না হয়।
এটি একটি আধ্যাত্মিক, দার্শনিক, এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে সত্য। ধর্মীয়ভাবে বলা হয়, আল্লাহ বা ঈশ্বর সব কিছু দেখে রাখেন এবং সব কাজের ফলাফল তিনি নির্ধারণ করেন, যা কখনো বর্তমান সময়ে দেখা যায় না, তবে একসময় তা প্রকাশিত হয়। সমাজেও প্রতিটি মানুষ তার কাজের জন্য কোনো না কোনোভাবে ফল পায়—সেটি ভালো বা খারাপ হতে পারে।
প্রকৃতির বা সময়ের প্রতি নির্ভরশীলতা ইঙ্গিত করে যে, কিছু কিছু জিনিস আমাদের হাতের নাগালে থাকে না, তবে তা প্রকৃতির নিয়মে আমাদের কাছে চলে আসে। একে আমরা প্রাচীন ধারায় “কর্মফল” বলেও জানি।
এছাড়া, এই বাক্যটি আমাদের শেখায় যে, ধৈর্য ও আস্থা রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের যা কিছু প্রাপ্য, তা একসময় আসবেই—তা দ্রুতই হোক বা সময়ের পরিক্রমায়।
এভাবে, এই বাক্যটি আমাদের জীবনযাত্রায় সঠিক পথ বেছে নেয়ার এবং সব কিছুতে নির্ধারিত সময়ের প্রতি আস্থা রাখার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
-ফরহাদ ইবনে রেহান