হোমপেজ শিক্ষণীয় ঘটনা ও বাণী হায়রে তোতাঁপাখি তোর অঙ্গে এত রূপ

হায়রে তোতাঁপাখি তোর অঙ্গে এত রূপ

তোতাঁপাখি

হায়রে তোতাঁপাখি তোর অঙ্গে এত রূপ

তোতাঁপাখি আর হুদহুদ পাখির মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ। তোতাঁপাখি যা পড়ে আর শুনে তা হুবুহু উদগীরণ করে। অর্থাৎ যা গলাঃধকরণ করে তা ওই বমি করে। আর হুদহুদ পাখি শান্তপ্রকৃতির, তীর্যক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী, সিআইডি মাইন্ডেড, দূরদৃষ্টিসমপন্ন, রহস্যসন্ধানী, আবিষ্কারের নেশায় মত্ত থাকে। হুদহুদ পাখি রহস্যময়ী। তোতাঁপাখির বিগার বেশি কারণ তার মিষ্টিকন্ঠে সকলকে বিমোহিত করে। হুদহুদ পাখি সৃষ্টির প্রানে উল্লাসিত তাই তার বিগার নেই।

হুদহুদ পাখি দিতে আসছে তাই সে সকলের মধ্যে অসাধারণ হয়েও সাধারণ থাকে। আর তোতাঁপাখির বিগার বেশি, কারণ সে নিতে জানে, আর জিততে চায়। দিতে জানে না, বিলাতে জানে না। যেমন কাক আর কোকিলের ন্যায়। কোকিল কাকের বাসায় ডিম পাড়ে, সেই ডিম তা দিয়ে কাক বাচ্চা ফুটায়। কিন্তু কোকিলের জিনগত স্বভাব পরিবর্তন হয় না। তাই প্রবাদে বলে ” কাকের বাসায় কোকিলের ছাও জম্ম নিলেও জাতিগত স্বভাব যায় না। কোকিল ছলনার আশ্রয় নেয়, এক এক সময় ধোকা দেওয়ার জন্য নানা রূপের ফাঁদ আবিষ্কার করে।

কিন্তু হুদহুদ এসব দেখে মজা নেয়। আর হুদহুদ বলে শুকনা লাকড়ি জ্বলে বেশি। একটু আগুনের স্পর্শ পেলেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে তোতাঁপাখি। সব সময় মাস্টারের ভূমিকা পালন করে, ছাত্র হয়ে শিখতে পারে না। কাঠ পুড়লে কয়লা হয়, আর কয়লা পুড়লে শ্বেত ছাই হয়। হুদহুদ কাঠপোড়া কয়লা না কয়লা পুড়া শ্বেত ছাই।

(এই হুদহুদ পাখির কথা সুরা নমলে বর্নিত রয়েছে)।

নিবেদক: আর এফ রাসেল আহমেদ