মিষ্টিভাবে কুরআন অবমাননা।
অবশেষে জ্ঞানহীন মুসলিমদের চাহিদা পূরণে ব্যবসায়ীরা মহাগ্রন্থ কুরআনকেও ‘মিনি’ বানিয়ে ‘শো পিছ’ বানিয়ে দিল। এই কুরআন কারা পড়তে পারবে? বড় ছাপারটাই ত ভাল মত পড়তে পারে না মানুষ। কুরআনের হাফেজ ছাড়া কেউ এই কুরআন পড়তে পারে না, তাও দেখে পড়ে এমন না, যেহেতু মুখস্থ থাকে, তাই একটু দেখলেই বাকীটা পড়তে পারে। কারণ চোখেই দেখা যায় না।
এই কুরআন পকেটে রাখা যাবে, অথচ কুরআন পকেটে রাখার বস্তু না। সাজিয়ে রাখা যাবে, অথচ সাঁজিয়ে রাখার বস্তু না। কুরআনের হক আদায় হয় কুরআন তেলওয়াত ও অনুধাবনের মাধ্যমে। জ্ঞানহীন মুসলিমরা এগুলো বুঝে না বলেই কুরআন নিয়েও তামাশা হয়। তামাশা যে হচ্ছে, তাও বুঝে না, উলটা এগুলো দেখলে বলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
মন্দিরে কুরআন থাকলে কুরআন অবমাননা হয় না, কারণ এই কুরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য, তাই মন্দির বা গীর্জাতেও কুরআন থাকবে। অথচ এটাকে জ্ঞানহীনরা কুরআন অবমাননা বলে। কিন্তু মহাগ্রন্থ কুরআনকে মিনি কুরআন ছাপিয়ে যে তামাশা হচ্ছে, সেই খেয়াল কারো নাই।
আমি আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞ আলেমকে দেখি নাই সাথে মিনি কুরআন রাখতে বা কাউকে রাখতে বলতে। হয়তো একসময় এব্যাপারে সবাই মুখ খুলবেন।
মন্দিরে বা গীর্যায় কুরআন থাকা শুভ লক্ষণ, কুরআন তো হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সবার ঘরে শোভা পাওয়ার গ্রন্থ। কারণ এই গ্রন্থ সমগ্র মানব জাতির জন্য। কিন্তু অবস্থা এমন যে, ধর্মান্ধ জ্ঞানহীন কিছু মুসলিমদের কারনে অন্য ধর্মের মানুষেরা কুরআনে হাত দিতেও ভয় পায়। কোন সময় কুরআন অবমাননার তকমা লাগিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়, এই ভয়ে থাকে অনেকে। অথচ এমনটা হওয়াত কথা ছিল না।
কুরআনের অবমাননা হয় তখন, যখন ওয়াজের মঞ্চে কুরআনের আয়াত বলে কমেডি করা হয়, হাসাহাসি করা হয়। কুরআনের অবমাননা হয় তখন, যখন ওয়াজের মঞ্চে কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। কুরআনের অবমাননা হয় তখন, যখন ওয়াজের মঞ্চে কুরআন থেকে ‘দিনাজপুর-কুমিল্লা’ বের করে লোক হাসানো হয়। কুরআনের অবমাননা হয় তখন, যখন ব্যবসার উদ্দেশ্যে কুরআনকে ৭ রঙে ছাপিয়ে কালারফুল কুরআন নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হয়। কুরআনের অবমাননা হয় তখন, যখন কুরআনকে পাঠের অযোগ্য করে শো পিস হিসেবে ‘মিনি কুরআন’ বানিয়ে বাজারে ছাড়া হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআন অনুধাবনের তাওফীক দান করুন। আমীন।
লেখা- DM Rahat