হোমপেজ ইলমে মারেফত কালাম তথা অজিফা

কালাম তথা অজিফা

কালাম তথা অজিফা

কালাম আত্মাকে পবিত্র করার শ্রেষ্ঠ ঔষধ। কালাম উচ্ছৃঙ্খল জীবনের গতিতে শৃঙ্খলার পথপ্রদশর্ক। কালাম উদ্ধত অহংকারের আস্ফালনের মৃত্যু ঘটায়। পশুর মতো জীবন যাপনের পথে কালাম দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়। কালাম কাপুরুষকে মহাপুরুষ হবার আহ্বান করে। (মারফতের গোপন দর্শন অনেকেরই অজানাঃ ২৬ পৃষ্টা)।

কালান্দার মাওলা বেদম ওয়ার্সী আল জাহাঙ্গীর আঃ প্রায়ই বলেন “চোখ বন্ধ করলেই কি ধ্যান হয়ে যায়? না, চোখ বন্ধ করলেই ধ্যান হয় না। ধ্যান করতেও গুরুর দয়া লাগে।”

মন্তব্য:

একটি খান্নাস মিশ্রিত মন তথা নফসটি অতি চঞ্চল , অতি অস্থির। এই খান্নাসযুক্ত নফসটি পবিত্র করার জন্য অজিফা তথা কালাম হলো শ্রেষ্ঠ ঔষধ। রোগ হলে ঔষধ খেতে হয় বিধান অর্থে। এখন কলব তথা অন্তর তথা মন তথা নফস ময়লা, আবর্জনা, লোভ – মোহের ভাইরাসে ভরপুর। এই সংক্রামক ভাইরাস দূর করার জন্য প্রয়োজন এন্টিভাইরাসের। নফস তথা মন তথা কলব তথা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র এন্টিভাইরাস হলো মুর্শিদের দেওয়া অজিফা তথা কালাম। কালাম আত্মার ময়লা নিরাময় করার অব্যর্থ প্রতিষেধক। অসুস্থ মনকে নিরাময় করার অব্যর্থ প্রতিষেধক হলো কালাম।

নফস পবিত্র হলে ধ্যানের পবিবেশ তৈরি হয়। তখন আর জোড় করে মনকে ধ্যানে আনতে হয় না, তখন মন ধ্যানে মশগুল থাকে। একই কালাম বারংবার পাঠ তথা উচ্চারণ করলে সেখান থেকে শক্তি উদগীরণ হয়, যা সমগ্র শরীলকে প্রভাবিত করে। এবং শরীলের বিভিন্ন জড়তা কেটে যায়, চঞ্চল মন তথা অস্থির মন স্থিরতার দিকে ধীরে ধীরে আসতে থাকে। ধ্যানের জন্য শরীল এবং মন প্রস্তুত করার জন্য কালাম তথা অজিফার কোনো বিকল্প নেই। কোন এক মহাজন বলেছিলেন, ধ্যানের জন্য প্রস্তুত হতেই গভীরতার তারতম্যে লেগে যায় একযুগ, ধ্যানের জন্যই অজিফা, অজিফাকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সবকিছুর মূলই ধ্যান। ধ্যান হয়ে গেলে সবই হয়ে গেলো।

সুতরাং সাধনারও উঁচু নিচু অনেক পর্যায় রয়েছে। একজন প্রাথমিক স্তরের সাধক অজিফার মাধ্যমে ধ্যানের দিকে অগ্রসর হওয়াই আবশ্যক। আর যিনি ধ্যানে মশগুল তিনি নিজেই অজিফা হয়ে যান, এখানে এসেই জানশরীফ আঃ ইরশাদ করেন” মোর্শেদ শরীর হৈতে মুরীদ শরীর, একাযুক্ত মিষ্ট যেন পানিতে চিনির। যত পানি সব চিনি মিঠা সমুদয়, এখন কোথায় চিনি ভিন্ন বলা হয়। এই সে হুজুরী বিদ্যা মিরাস নবীর, কোথায় কাগজে আছে তাহার তাছির।” যাকে কোরানের ভাষায় আল্লাহর কলম বলা হয়, এই কলম থেকেই কালাম বের হয়। কালান্দার মাওলানা জাহাঙ্গীর আঃ তিনি নিজেই স্বয়ং ভক্তের অজিফা, কারণ তিনি আল্লাহর মনোনিত কলম। এবং তাঁর দেওয়া কালামকে রোগ মুক্তির ঔষধ হিসাবে আমাদের গ্রহণ করতে হবে,
খান্নাসযুক্ত নফসকে পবিত্র হওয়ার জন্য।

আর এফ রাসেল আহমেদ
৩১/০৮/২০২২