হোমপেজ ইলমে মারেফত খোদা মানুষের মধ্যে বিরাজ করে।

খোদা মানুষের মধ্যে বিরাজ করে।

1114

খোদা মানুষের মধ্যে বিরাজ করে।

খোদে খোদা আল্লা রাধা দোস্ত মুহাম্মদ।
অজুতে মজুত সাই, দোমে কেয়ামত।
কোরানে কয় নামাজ রোজা,
বেহেস্তে যাওয়ার রাস্তা সোজা
হযরতে কয় লামাও বোঝা করে খেদমত।
শরিয়তে করে সন্ধি, তরিকতে বোঝ ফন্দি,
হকিকতে ইমান বান্দি, করো ইবাদত।
আদমি আদমের জাত, হরদমে করো ইয়াদ
লা সরিলা মৌজুত আল্লা, ফতে মারফত।
মনোমোহন পেরেশান, খুঁজে হিন্দু-মুসলমান।
করিম-কৃষ্ণ, রহিম-রাম, শিব-হজরত।
বিসমেল্লাতে বিষ্ণু হয়, কিদ্দগারে দয়াময়,
ফতেহা করিম কালী, আলেক হুম তৎসৎ।
ইয়াদু পরম হংস, সত্যের নাই কোন ধ্বংস,
আব পানি, জলের বংশ, একে হরেক মত।

– মনোমোহন দত্ত

প্রজ্ঞাময় ব্যাখ্যাঃ

খোদা খোদ, তথা নিজের মধ্যে বিরাজ করে। খোদ অর্থই নিজ বা শক্তি। এই শক্তির অবস্থান পৃথিবীর প্রতিটা অনু-পরমানুতে রয়েছে। এই খোদাকে পেতে হলে বাইরে বাইরে খোঁজাখুঁজি করলে তাঁকে পাওয়া যাবে না। নিজ অন্তরের মধ্যে মুহাম্মদ তথা প্রজ্ঞাবান সত্ত্বার নির্দেশিত পথে নিজের মধ্যে সাধনার মাধ্যমে তাকে অনুভব করা যায়। একমাত্র প্রজ্ঞাবান সত্ত্বার নির্দেশিত পথে সাধনার মাধ্যমে নিজের অন্তরের বাইরে অন্য কোন পদ্ধতিতে সেই শক্তিকে পাওয়া যায় না। কোরানে আছে নামাজ রোজা পরিপালন করলে বেহেশেতে সহজে যাওয়া যায়। হ্যাঁ, সৎ কর্ম করলে মানুষের মনের মধ্যে এক জাতীয় শান্তি আসতে পারে কিন্তু খোদাকে পাওয়া যায় না। কারণ খোদাকে বাইরে বাইরে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায় না।

প্রজ্ঞাবান সত্ত্বা হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, বোঝা নামানোর মাধ্যমে খেদমত করলে তাকে পাওয়া যায়। এখানে মানুষের চিন্তা-চেতনা কেবল বস্তু ভিত্তিক। মানুষের সমস্ত জীবন ধর্মীয় চিন্তা চেতনার মধ্যে কেবল বস্তু প্রাপ্তির বাসনা কাজ করে। বস্তু প্রাপ্তির বাইরে তার মধ্যে কোন চিন্তা চেতনা নেই। এমনকি তার অন্তরের মধ্যে কোন মহব্বত পর্যন্ত নেই। তাই কেবল মাত্র চিন্তা চেতনার মধ্যে যে বস্তুভাব আছে তাকে যদি নামান যায় তাহলে নিজের অন্তরের মধ্যে যে খোদা আছে সেই শক্তি জেগে উঠবে।

মনোমোহন বাইরে বাইরে হিন্দু মুসলমান দেখে দেখে পেরেশান হয়ে গেছেন। বাইরে বাইরে কোন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় সত্ত্বা না ভেবে বরং নিজের অন্তরের মধ্যকার অভিন্ন সত্ত্বার শক্তিকে জাগ্রত করলেই মানব জীবনের সফলতা

– Md saddam Gb)