আধ্যাত্ববাদ কি?
সহজ কথায় নিজেকে চেনার মতবাদ বা মাধ্যমকেই আধ্যাত্ববাদ বলা হয়! এখানে প্রশ্ন আসে নিজেকে কি চিনব? আমাকে চেনার কি আছে? বা আমি কী আমাকে চিনি না? এর উত্তর হচ্ছে না আমরা আমাদের আসল অস্তিত্ব কে আসলেই চিনি না! কি ভাবে চিনি না? বা কি কারনে চিনি না? এখন এর উত্তর পেতে হলে আমাদের আরো গভিরে চিন্তা করতে হবে। যেমন একটা শিশু তার জন্মের পর নিজেকে খুদ্র বা সীমাবদ্ধ গঠনের ভিতর আবদ্ধ কোনো সত্তা মনে করে না। এই কারনেই একটা শিশু অতিব চঞ্চল ও সাহসী হয়ে থাকে।
কোনো কিছুকেই তাদের কাছে বাধা মনে হয় না। একটা শিশু সাপের সাথেও খেলতে পারে কেননা তার মাঝে ভয় বা সচেতনতা কোনোটাই নেই! কিন্তু যখন সে আস্তে আস্তে গঠনগত দিক দিয়ে বড় হতে থাকে তখন তার চারপাশের পরিবেশ তাকে একটা সীমাবদ্ধ গন্ডির ভিতর ডুকিয়ে দেয় ছোট বড় বিভিন্ন সমস্যার অজুহাতে! তখন সে নিজেকে ছোট ভাবতে শুরু করে ও তারচেয়ে বড় শক্তির সন্ধ্যান করতে চায়! এবং প্রচলিত বিভিন্ন আবদ্ধতায় জড়িয়ে পরে।
কিন্তু সমাজে প্রচলিত এই অজুহাত বা ছোট বড় নাম দেওয়া সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ত করা যেত অন্য কোনো পদ্ধতিতে কোনো আবদ্ধতা বা সংকীর্নতায় না জড়িয়ে! আশেপাশের এই সকল আবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়ে প্রচলীত পদ্ধতি হতেও উর্ধগামী হওয়া ও নিজের ভাবনা নামক খুদ্র সত্বাকে বৃহৎ সত্বায় রুপান্তরিত করার অভ্যস বা চর্চাকেই আধ্যত্ববাদ বলে!আর সুফিবাদ হচ্ছে আধ্যাত্ববাদের যত শাখা আছে তার মাঝে সবচেয়ে বড় এবং সহজ সুন্দর সাবলীল প্রেমময় পন্থা! এটা বহু ব্যাপ্ত ও ভালোবাসা বিভোর।
– ইমরান হাসান ইমন