সূফিবাদের মূল উদ্দেশ্য- ‘আত্মশুদ্ধি’।
আমরা কম বেশি সকলেই সূফিবাদে বিশ্বাসী। যতটুক জানি তা হল সূফিবাদের মূল উদ্দেশ্য- ‘আত্মশুদ্ধি’। রাসূল (সাঃ) এর শেষ আইন অনুযায়ী একজন কামেল পীরের হাতে বায়াত গ্রহন করে গুরুর চরণে নিজেকে উৎসর্গ করি আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে জানা এবং সঠিক পথ চিনার জন্য। আত্মশুদ্ধি হলো আত্মাকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করা। সূফিবাদে বিশ্বাসী হওয়ার পরেও দেখা যায় ‘আত্মশুদ্ধি’ চর্চাটা তেমন হয় না আমাদের।
আমাদের মানবচরিত্রের এমন কিছু দোষ আছে যা ইহকাল ও পরকালের ব্যর্থতার কারণ। সূফি সাধকদের মতে, এমন ১০টি মন্দ স্বভাব আছে, যা আত্মশুদ্ধির পথে বাধাস্বরূপ। সে বিষয়গুলো হলো—লোভ, হিংসা, অহংকার, অহমিকা, উচ্চাভিলাষ, প্রদর্শনেচ্ছা, মিথ্যা, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা, কৃপণতা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্তমানে তরিকত পন্থি প্রায় দরবার কয়েক ভাগে বিভক্ত! হিংসার পর্যায়টা এতকাছে এসে দাড়ালো, আত্মশুদ্ধি বাদ দিয়ে একে অপরের গীবতে ব্যস্ত! নিজেদের এসব ভুলের কারণে আজকাল সূফিবাদের কথা বললে মানুষ হাসে এবং আত্মশুদ্ধির কথা বললে টাট্টা করে বলে- ‘এই ভন্ডামির যুগে আত্মশুদ্ধি পরকিয়া’! চাইলেই এসব পরিহার করতে পারি আমরা।
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের গীবত না করে চলুন নিজেকে জানি, নিজেকে চিনি। ইখলাস, তাকওয়া, সবর, শোকর ইত্যাদির বিধানের চর্চা ও সে অনুযায়ী আমল করার নামই হলো আত্মশুদ্ধি। মওলানা জালালউদ্দিন রুমির মূল্যবান একটি বাণী আছে- গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই, আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী। তাই, নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
– জাফর আলম আশিক