প্রজ্ঞার বিচ্ছুরণ: সাইনবোর্ড চাই না, সত্য চাই।
বিদ্যা: পুথি বা গ্রন্থ থেকে যে তথ্য বা ধারনা সংগৃহীত হয় তাকে বিদ্যা বলে। পুথির সাথেই বিদ্যার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক। কারণ বিদ্যার ধারক ও বাহকদেরকে বলা হয় বিদ্বান (পন্ডিত)। তারা কথায় কথায় পুতি বা কেতাবের বরাত দিতে ভালবাসে।
জ্ঞান: ইন্দ্রিয়ানুভূতির নির্ভুল ধারনাকে জ্ঞান বলা হয়। প্রকৃতির সাথে রয়েছে জ্ঞানের প্রত্যক্ষ সমপর্ক।পরোক্ষ সমপর্ক রয়েছে পুথির সাথে। সুতরাং যিনি স্বীয় প্রকৃতি বা বাস্তবতা সমপর্কে সম্যক অবগত এবং তদনুযায়ী স্বীয়কে সঞ্চালিত করেন তিনিই জ্ঞানী। আরো বলা যায় যে, যে বা যিনি প্রকৃতিকে (বাস্তব ঘটনাকে) মন্থন করে প্রজ্ঞার বিচ্ছুরণ ঘটায় অথবা প্রজ্ঞার পথে ধাবিত, সে বা তিনিই জ্ঞানী। মোদ্দাকথা যিনি সংযম ও পবিত্রতার সাথে স্বীয়কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন তিনিই জ্ঞানী।
প্রজ্ঞা: অন্তর্দৃষ্টির নির্ভুল বিচার-বিশ্লেষণের ভারসাম্য বলা হয় প্রজ্ঞা। জ্ঞানকে মন্থন করলে যে নির্যাস বের হয় তাই প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার অধিকারীকে প্রাজ্ঞ বলে অভিহিত করা হয়। যারা অতীন্দ্রিয়জ্ঞানের সত্তার অধিকারী তারাই হলেন প্রজ্ঞান। যারা তৃতীয় চক্ষু তথা ষষ্ঠইন্দ্রিয়ের তথা থাড আই এর অধীকারি তারাই অতীন্দ্রিয়বাদী।
শিক্ষা: যিনি স্বীয় আধারে সত্যকে সম্যকরূপে উদ্ভাসিত করতে পেরেছেন এবং অপরকে সেই সত্যের সহিত পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম তিনিই শিক্ষিত। তিনি অচঞ্চল, ধীর স্থীর, সংযত, মননশীল, অন্তমুখী, নিরবপ্রকৃতির, আপন সিদ্ধান্তে অটল। একটি মানবসত্তা যে শুভগুণগুলো ধারণ করে তা কর্মে ও আচারণে প্রতিফলিত করে সেটাই শিক্ষা।
সত্য: কোনো কিছুর মৌলিক সত্তাই হল সত্য। ইহা বিশ্লেষণের অযোগ্য এবং স্বরূপে সিদ্ধ। সত্য সবসময় উলঙ্গ। সত্য আবরণ মুক্ত, সত্য স্বাধীন, সত্য নিরপেক্ষ।
জাহেল: যিনি সত্যের পরিচয় না জেনে আপন প্রবৃত্তির খেয়াল খুশির মত চলে তিনি অজ্ঞান তথা মূর্খ তথা জাহেল।
কাফের: যিনি সত্যের সন্ধান জানার পরেও আপন প্রবৃত্তির মর্জিমাফিক চলে তিনিই সত্য প্রত্যাখানকারী তথা অবিশ্বাসী তথা কাফের।
বিশ্বাসী: যিনি সত্যেকে আলিঙ্গন করেছেন, এবং সত্যের পরিচয় লাভ করেছেন এবং সত্যের মধ্যে স্থিত তিনিই বিশ্বাসী।
– আর এফ রাসেল আহমেদ