
দমের খবর (পর্ব -০৫)
শর্তানুযায়ী তত্ত্বের উদয় ও সময়সীমা সম্পর্কে আলোচনা করব এই পর্বে।
প্রতি ঘন্টায় আমাদের দেহে নূর, বাদ, আতস, আব, খাক এই পঞ্চের তত্ত্বের উদয় হচ্ছে। এক নাসিকায় শ্বাস প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রথমেই বাদ তথা বায়ু তত্ত্বের উদয় হয়। বায়ু তত্ত্ব উদয় হয়ে ২০ পল সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বায়ু তত্ত্বের অস্তমিত হওয়ার পর আতস তথা অগ্নি তত্ত্বের উদয় হয়ে ৪০ পল পর্যন্ত সময় স্থায়ীত্ব থাকে। তারপরেই খাক তথা পৃথিবী তত্ত্বের উদয় হয়। পৃথিবী তত্ত্বের সময়সীমা ৫০ পল। পৃথিবী তত্ত্বের আব তথা জল তত্ত্বের উদয় হয়ে ৬০ পল সময় পর্যন্ত উদিত থাকে। জল তত্ত্বের অস্ত্র যাবার পর সর্বশ্রেষ্ঠ নূর বা ছাফা তথা আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়। এটার সময়সীম মাত্র ১০ পল। এই সময় সাধনা ব্যতীত অন্য যে কোনো কাজ করিলেই তা ধ্বংস হবে বা কৃতকার্য হবে না। আর এটাই সাধনার সর্বোত্তম সময়। এই সময় সাধনা করলেই দ্রুত অগ্রগামী হওয়া যায়।
যেই সময় যে নাকে বাতাস প্রবাহিত হবে তখন সেই নাকে উপরে উল্লেখিত পঞ্চ তত্ত্বের উদয় হয়ে সমস্ত দেহে বিরাজ করবে নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কোনো কারনে এটার তারতম্য ঘটতেও পারে।
এই তত্ত্ব নির্নয়ের মাধ্যমেই সাধক আগুম নিগুম অর্থাৎ ভবিষ্যতের কোনো কার্যের সফলতা বা অন্য কিছু তা ঘটার আগেই বলতে পারেন। আর এটা নির্নয়ের মাধ্যমেই পুত্র বা কন্যা সন্তান লাভ করা যায় ইচ্ছানুযায়ী। এমনকি কাউকে ভালবেসে কোনো পুরুষ যে কোনো নারীকে বা কোনো নারী যেকোনো পুরুষকে তাঁর বশে আনতে পারবেন (অর্থাৎ প্রেম সফল হবে)। এমনকি মৃত্যুর আগাম বার্তাও এখান থেকেই নির্নয় করতে হয়।
এই ভেদ গুলো গুরুর কাছ থেকেই জানতে হবে আপনাকে। আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নাই। তবে আমার লিস্টে অনেককেই দেখেছি দম সাধনা নিয়ে ভালই মন্তব্য করে, তারা অনেক সময় আপনাকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য আপনার ফোন নাম্বার নিয়ে জোর করে আপনাকে জ্ঞান দানও করে (এদেরকে দেখলে লজ্জা লাগে, জ্ঞান কারো কাছে যায় না, সবাই জ্ঞানের কাছেই আসে, তাও আবার বিনয়ের সাথে)।
আগামী পর্ব গুলোতে তত্ত্ব নির্নয়ের পদ্ধতি ও রঙ এবং স্বাদ সম্পর্কে আলোচনা করব এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে। কারন অনেকের বাকা দৃষ্টির মন্তব্য আমাকে হতাশ করে মাঝে মাঝে।
বিঃদ্রঃ ১০ পল = বর্তমান ৪ মিনিট :)। দম সাধকগন মূলত আধুনিক হিসাব নয়, বরং আদি হিসাব দ্বারাই গননা করে থাকেন এইসব বিষয়। আপনাদের বুঝার জন্য আমি পরিষ্কার করে দিলাম বিষয়টা।
চলবে………
লেখা: DM Rahat