ওয়ায়েস করনী রহঃ একজন স্বনামধন্য বিশিষ্ট তাবেই ছিলেন।
হযরত ওয়ায়েস করনী রহঃ একজন স্বনামধন্য বিশিষ্ট তাবেই ছিলেন, তিনি ছিলেন ইয়েমেনের অধিবাসী, তিনি সর্বদা হযরত রাসূল সাঃ এর প্রেম সাগরে ডুবে থাকতেন, রহমাতুল্লিল আলামীন হযরত রাসূল সাঃ ফরমান – ওয়ায়েস তাবেইনদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি, তিনি আরো ফরমান – আমি ইয়েমেনের দিক থেকে আল্লাহর রহমতের সুঘ্রাণযুক্ত বাতাস অনুভব করছি।
একদা হযরত রাসূল সাঃ সাহাবায়ে কেরামদের বললেন, তোমরা জেনে রাখ আমার উম্মতের মধ্যে এক আছে, যার সুপারিশে মহান রাব্বুল আলামিন কবিলায়ে রাবী ও কবিলায়ে মেজারের ছাগলের পশম সংখ্যা তুল্য গুনাগার লোকদের ক্ষমা করে দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ এমন সৌভাগ্যবান লোকটি কে?
হযরত রাসূল সাঃ বললেন সে আল্লাহর এক প্রিয় বান্দা, নাম তার ওয়ায়েস করনী। সাহাবিগণ আরজ করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ তিনি কি আপনাকে দেখেছেন? আল্লাহর নবী সাঃ বললেন না, সে আমাকে কখনো বাহ্যিক চোখে দেখেনি, তবে অন্তর চোখে দেখেছে, সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন – তিনি যদি আপনার এতোটাই আশেক হবেন, তাহলে তিনি আপনার খেদমতে আসেন না কেন?
আল্লাহর রাসূল সাঃ জবাব দিলেন, প্রথমত সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ এর মহব্বতে এমনই বিভোর হয়ে রয়েছে যে, তার কোথাও যাবার মতো অবস্থা নেই, দ্বিতীয়ত তার অতিশয় অন্ধ ও বৃদ্ধা জননী জীবিত রয়েছে। তাকে দেখাশোনা ও খেদমত করার সে ছাড়া আর কোন লোক নেই, তা ছাড়া মাতার ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব ও তাঁর কাঁধে, উট পালন করে সে নিজের ও মায়ের দৈনন্দিন জীবিকার ব্যবস্থা করেন।
সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ সাঃ তাঁর সাথে কি আমাদের সাক্ষাৎ হবে? তিনি বললেন না তার সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ হবেনা, তবে হযরত ওমর রাঃ ও হযরত আলী কারামাল্লাহ ওয়াজহাহু এর সাথে তার সাক্ষাৎ হবে। অতঃপর তিনি হযরত ওয়ায়েস করনী রহঃ এর দুটি শারিরিক নিদর্শনের কথা প্রকাশ করেন যে, তার সর্বশরীর অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ লোমাবৃত, আর দুই হাতের বামদিকে একটা করে সাদা রংয়ের দাগ আছে।
গ্রন্থসূত্রঃ তাজকেরাতুল আউলিয়া ১ম খণ্ড।