অগ্নিবীণার ঝংকার উঠে ছিল এ ধরায় (উৎসর্গ: কাজী নজরুল)
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষেঃ
এস আকরাম হোসেন
২৬/০৫/২০২৩
“ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা
জীবনের জয়গান আসি,
অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা,
দিবে কোন বলিদান?
আজি পরীক্ষা জাতির অথবা-
জাতের করিবে ত্রাণ?”
ভৌগলিক এলাকা, দেশ, রাষ্ট্র, ঐক্য, দেশপ্রেম, ভাষা সাহিত্য ও বর্ণের মিলন ঘটানোর দু:সাহসী নাম কাজী নজরল ইসলাম। এটা কেবল ভারতই নয় বাংলাদেশের মানুষের মনেও চিরঅম্লান হয়ে আছে এবং থাকবে। বাংলার মানুষের জাগ্রত প্রেমের টানেই কবি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার বহু আগেই এই দেশের আনাচে-কানাচে এসেছেন, লিখেছেন আর এই দেশের মেয়েকেই বিয়ে করেছেন, সংসার করেছেন।
নজরুল ইসলামের কাব্যে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে, মুসলিম চেতনাবোধের চেতনা সুস্পষ্ট। ঐতিহ্যবোধ থেকেই আসে স্বদেশ প্রেম, আর স্বদেশ প্রেমই পরাধীনতার বন্ধন মুক্তির উদগ্র বাসনা জাগায়।
মুসলিম ঐতিহ্যবোধ থেকেই তিনি বন্ধন মুক্তির গান গেয়েছেন:-
“কান্ডারি! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর
বাঙালির খুনে লাল হল সেথা ক্লাইভের খঞ্জর।”
কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ধর্ম নিরপেক্ষতার দলে যতই টানতে চায়না কেন, তিনি নিজ ধর্ম, ঐতিহ্য, চেতনা থেকে একচুলও সরে যাননি।
তাই তিনি লিখলেন,
“শাতিল আরব! শাতিল আরব!
পুত যুগে যুগে তোমার তীর/শহীদের লহু,
দিলীরের খুন ঢেলেছে সেখানে আরব বীর/”
আবার লিখলেন,
“জুলফিকার আর হায়দারী হাঁক/হেথা-
আজও হযরত আলীর/শাতিল আরব!
শাতিল আরব/জিন্দা রেখেছে তোমার তীর।”
মুসলিম ঐতিহ্যের কবি বলেই লিখেছেন,
“আবু বকর, উসমান, ওমর আলী হায়দার,
দাঁড়ি যে এ তরনীর, নাই ওরে নাইডর
কান্ডারি এ তরীর পাকা মাঝি-মাল্লা
দাঁড়ি মুখে সারিগান লা শরিক আল্লা।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার হৃদয় সঞ্চিত সমস্ত প্রেম, ভালোবাসার অর্ঘ্য দিয়ে জানাচ্ছি অভিনন্দন ও অভিবাদন।