কেবল আল্লাহ মানাই ঈমান নয়
কেবল আল্লাহ মানাই ঈমান নয়, আল্লাহ এবং রাসুলকে এক জানার নাম ঈমান।
ঈমানের মূল তত্ত্ব
আবুল হেকাম মক্কার মধ্যে একজন ধর্মীয় নেতা ছিলো। সে এক আল্লাহ মানতো ঠিকই। কিন্তু আবুল হেকাম মুহাম্মদ (সা.) কে আল্লাহর রাসুল মানতে পারে নাই। তাই তিনি মহানবিকে মানুষজ্ঞানে বিরোধিতা করতো। এবং গোত্র ও দলের মর্যাদা রক্ষার জন্য আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ (সা.)- এর প্রকাশ্য বিরোধিতা করতো। রাসুলের সাথে গোস্তাখি করার জন্য জ্ঞানীদের পিতা তথা আবুল হেকাম আবু জাহেলে তথা মূর্খের পিতা পরিণত হলো।
শয়তান এক আল্লাহ তথা ওয়াহেদ আল্লাহ মানতো, এবং শয়তান বলে আমি আল্লাহ পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও ভয় করি। কিন্তু শয়তান আহাদ আল্লাহ মানতে পারে নি। শয়তান আল্লাহর হুকুম আদমকে সিজদা না দিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য ইবলিসে পরিণত হলো। সালাফি দর্শনটা ইবলিশি এবং আবু জাহেলের দর্শন। আজাজিল তথা ইবলিশ ওয়াহেদ আল্লাহ বিশ্বাসী বলে আহাদ আল্লাহ আদমকে সিজদা করেন নাই, পরিণামে আল্লাহর সাথে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হলো এবং মহাজ্ঞানী, যুক্তিবাদী ও বুদ্ধিজীবী ইবলিশে পরিণত হলো। বাক্কার আবুল হেকাম ওয়াহেদ আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিলো ধর্মীয় নেতা, জ্ঞানীদের পিতা ছিলো, কিন্তু মুহাম্মদ সা. এর কাছে আত্মসমর্পণ না করে যুক্তি অবতারণা করে নানা রকম অপবাদ রটাতে আরম্ভ করলো পরিণামে আবু জাহেল পরিণত হলো।
আবদুল্লাহ বিন রাজ্জাক সেও এক ধর্মীয় পন্ডিত, কিন্তু ঈমান অন্তরে স্থান পাই না, সেও ওয়াহেদ আল্লাহ মানে কিন্তু আযাজিল ও আবুল হেকামের ন্যায় আহাদ আল্লাহ মানেন না। তাই তারা কাফেরই রয়ে গেল। আল্লাহ মানা ঈমান না, আল্লাহ এবং রাসুল আলাদা করে মানাও ঈমান না, আল্লাহ এবং রাসুল একজানার নামই ঈমান। সুতরাং আহাদ আল্লাহর পরিচয় পেলেই ঈমান আসবে তার আগে নয়। নবি রাসুলের বাহিরে আপনি আল্লাহর পরিচয় পাবেন না। নবি রসুলগণই আল্লাহর পরিচয়। নবি- রসুল- অলিগণ মানুষ নন, নবি – রসুল- অলি হলের আল্লাহর জাতের প্রকাশ। সুতরাং আহাদ আল্লাহর বাহিরে ওয়াহেদ আল্লাহ কোনো দলিল নেই।
নিবেদক :
আর এফ রাসেল আহমেদ ওয়ার্সী